
হানিমুনে গিয়ে ১৫ দিন পরেও নিখোঁজ সোনম, প্রকাশ্যে ইন্দোর দম্পতির নতুন CCTV ফুটেজ, গাইডের বয়ানে রহস্যময় ৩ পুরুষ!
মেঘালয়ে হানিমুনে গিয়েছিলেন মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের এক দম্পতি। রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যান দু’জেনে। মেঘালয়ের যে হোমস্টেতে তাঁরা উঠেছিলেন, সেখান থেকে ২০ কিমি দূরে গভীর খাদ থেকে উদ্ধার হয়েছে রাজা রঘুবংশীর দেহ। যদিও তাঁর স্ত্রী সোনমের এখনও কোনও খোঁজ মেলেনি। এ বার সামনে এল নতুন একটি সিসিটিভি ফুটেজ। তাতে দেখা গিয়েছে, স্কুটারে করে তাঁরা দু’জনে শিলংয়ের একটি হোমস্টেতে এসে পৌঁছন। সেখানে তাঁরা নিজেদের লাগেজ রাখেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁরা আবার বেরিয়ে যান। ইন্দোর পুলিশ জানিয়েছে, রাজার দেহ যেখানে পাওয়া গিয়েছিল, তার কাছেই স্কুটারটিকে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তদন্তকারীরা স্কুটির জিপিএস যাচাই করে দেখেছেন ঘটনার দিন দুপুর ২টো নাগাদ সেটি কোথাও থেমেছিল। এর পর থেকে স্কুটি আর এগোয়নি। রাজাকে মারা হলেও সোনমকে কি অপহরণ করা হয়েছে নাকি তাঁকে হত্যা করে অন্য কোথাও দেহ ফেলে দেওয়া হয়েছে, তা এখনও নিশ্চিত নয়। রাজার দেহ যেখানে পাওয়া গিয়েছে, তার আশেপাশের ৫০ কিমি এলাকা তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ২৩ মে নিখোঁজ হয়ে যান দম্পতি। হোমস্টে-র কাছে যে সিসিটিভি ফুটেজটি উদ্ধার হয়েছে সেটি ২২ মে-এর। অর্থাৎ, রাজার মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার একদিন আগে। রাজার মৃতদেহ উদ্ধার করার পর ইন্দোরে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। যদিও গত প্রায় ১৫ দিন ধরে সোনমের খোঁজ মেলেনি। সোনমের ভাই বর্তমানে শিলংয়ে রয়েছেন। কোথায় গেলেন সোনম? কী ভাবে ও কেন রাজাকে মারা হলো? সে ব্যাপারে তদন্ত করছে পুলিশ। উল্লেখ্য, গত ২৩ মে ওই যুগল চেরাপুঞ্জি যান। সেখানে ওসারা পাহাড়ের কাছে একটি হোমস্টেতে গিয়ে উঠেছিলেন তাঁরা। এর পর থেকেই দু’জনে নিখোঁজ হয়ে যান। নিখোঁজ হওয়ার কিছুক্ষন আগে রাজার মায়ের সঙ্গে ফোনে কথাও হয়। পাহাড়ে উঠছেন। এখন বেশি কথা বলতে পারবেন না বলে ফোনে জানানো হয়েছিল। সেই শেষ কথা। ঠিক কী ঘটেছিল তাঁদের সঙ্গে, এখনও রহস্য।
ট্যুরিস্ট গাইডের তথ্য :
এদিকে শনিবার একজন ট্যুরিস্ট গাইড দাবি করেছেন যে, ইন্দোরের হানিমুন দম্পতি মেঘালয়ের সোহরা এলাকা থেকে নিখোঁজ হওয়ার দিন তাদের সঙ্গে তিনজন পুরুষ ছিলেন। একজন আধিকারিক নিশ্চিত করেছেন যে গাইড পুলিশকে এই তথ্য দিয়েছেন । ২৩ মে দম্পতি নিখোঁজ হওয়ার পর ২ জুন রাজার মৃতদেহ একটি খাদে পাওয়া যায় । তখন থেকে তাঁর স্ত্রীর সন্ধান চলছে ।