
‘যোগব্যায়ামকে বিশ্বব্যাপী সংকল্পে পরিণত করা উচিত’, আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে বার্তা প্রধানমন্ত্রীর
আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে অভ্যন্তরীণ শান্তিকে বিশ্বব্যাপী নীতি হিসেবে গ্রহণ করা এবং যোগকে একটি সম্মিলিত আন্তর্জাতিক দায়িত্ব হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ শনিবার বিশাখাপত্তনমে ১১তম আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উদযাপনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী দেশগুলিকে যোগকে কেবল ব্যক্তিগত বা সাংস্কৃতিক অনুশীলন হিসেবে নয়, বরং মানবতার ঐক্যের শক্তি হিসেবে গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছেন। এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারত যখন ২১ জুনকে রাষ্ট্রসংঘে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসেবে উদযাপনের প্রস্তাব করেছিল, তখন অল্প সময়ের মধ্যেই ১৭৫টি দেশ তা গ্রহণ করেছিল।” প্রধানমন্ত্রী মোদি আরও জানান, ১১ বছর পর, যোগ এখন বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষের জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে ৷ তিনি বলেন, “সিডনি অপেরা হাউস হোক বা এভারেস্ট পর্বত বা সমুদ্রের সীমানা, বার্তা হল যোগ সকলের জন্য।” বিশ্বজুড়ে কিছু না কিছু উত্তেজনাপূর্ণ ঘটনা ঘটছে বলেও এদিন মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “বিশ্বের কাছে আমার অনুরোধ- এই যোগ দিবসটি মানবতার জন্য যোগ ২.০-এর সূচনা করুক ৷ যেখানে অভ্যন্তরীণ শান্তি বিশ্বব্যাপী নীতিতে পরিণত হবে ৷ যোগ আমাদের বিশ্বের সঙ্গে একতা যাত্রায় নিয়ে যায়। সীমানা, পটভূমি, বয়স বা ক্ষমতার বাইরে সকলের জন্য যোগব্যায়াম।” মোদি বলেন, “যোগব্যায়াম হল অন্যতম একটি ব্যক্তিগত শৃঙ্খলা ৷ এছাড়াও, এটি এমন একটি ব্যবস্থা যা মানুষকে ‘আমি থেকে আমরা’-এ নিয়ে যায় ৷ এটি এমন একটি অভ্যাস যা মানবতার জন্য শ্বাস-প্রশ্বাসের সমান ৷ সুস্থ হওয়ার জন্য একমাত্র ভারসাম্য ৷” প্রধানমন্ত্রী এদিন স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে যোগব্যায়াম করেন ৷ অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। নাইডু বলেন, “মোদি যোগব্যায়ামকে কেবল ভারতে নয়, বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় করে তুলেছেন ৷ এটিকে একটি বিশ্বব্যাপী সুস্থ আন্দোলনে পরিণত করেছেন।” নাইডু উল্লেখ করেছেন, যোগ দিবস ১৭৫টিরও বেশি দেশে, ১২ লক্ষেরও বেশি স্থানে ১০ কোটিরও বেশি মানুষের অংশগ্রহণে পালিত হচ্ছে। তিনি বলেন, “আমি আমাদের দূরদর্শী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি যোগব্যায়ামকে কেবল ভারতে নয় বরং বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় করার জন্য। তিনি রাষ্ট্রসংঘের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস শুরু করেছিলেন এবং যোগব্যায়ামকে একটি বিশ্বব্যাপী সুস্থতার আন্দোলনে পরিণত করেছেন ৷”