
মায়ের বদলে ‘পেরেন্ট’, ‘গর্ভধারক পুরুষ’-এর পক্ষে ঐতিহাসিক রায় দিল কেরল হাইকোর্ট
ঐতিহাসিক রায় দিল কেরল হাই কোর্ট। রাজ্যের রূপান্তরকামী দম্পতির সন্তানদের জন্মের শংসাপত্রে ‘বাবা’ বা ‘মা’-এর পরিবর্তে ‘অভিভাবক’ (Parent) হিসাবে নাম নথিভুক্ত করা যাবে। সোমবার বিচারপতি জিয়াদ রহমান লিঙ্গনিরপেক্ষ শব্দ হিসাবে ‘অভিভাবক’ শব্দটিকে ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন। এই মামলার সঙ্গে জড়িয়ে জাহাদ এবং জিয়া পাভালের কাহিনি। জাহাদ শারীরিক ভাবে নারী হলেও নিজেকে পুরুষ মনে করেন, এর ঠিক বিপরিত জিয়া। অর্থাৎ জাহাদ একজন রূপান্তরকামী পুরুষ এবং জিয়া একজন রূপান্তরকামী মহিলা। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে সন্তানের জন্ম দেন জাহাদ। কোঝিকোড় পুরনিগম নবজাতকের শংসাপত্রে জাহাদকে ‘মা’ এবং জিয়াকে ‘বাবা’ বলা হয়। এর বিরুদ্ধে মামলা করেন রূপান্তরকামী দম্পতি। তাঁরা দাবি করেন, ‘মা’ ও ‘বাবা’র বদলে তাঁদের ‘অভিভাবিক’ স্বীকৃতি দেওয়া হোক। জাহাদ ও জিয়ার এই দাবিকেই সোমবার মান্যতা দিল কেরল হাই কোর্ট। নজিরবিহীন এই মামলা আবেদনকারীদের পক্ষে মামলা লড়েন কেরলের প্রথম রূপান্তরকামী আইনজীবী পদ্মা লক্ষ্মী। তিনি সংবিধানের ১৪তম অনুচ্ছেদ উল্লেখ করে লিঙ্গ নিরপেক্ষ ব্যক্তির মৌলিক অধিকারের প্রশ্ন তোলেন। অন্যদিকে দম্পতির বক্তব্য ছিল, তাদের ‘মা’ ও ‘বাবা’ বলে দাগিয়ে দেওয়া তাঁদের অস্তিত্বের লড়াইয়ের বিরোধিতা। ভবিষ্য়তে তাঁদের সন্তানেরও মৌলিক অধিকার খর্ব হবে। তাদের এই দাবিকেই মান্যতা দিল কেরল হাই কোর্ট। শেষমেশ জাহাদ ও জিয়ার পক্ষেই রায় দেন বিচারপতি জিয়াদ রহমান।