রাজ্য সরকারকে ফের হঁশিয়ারি কেএলও প্রধান জীবন সিংহের
পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে বিজেপির পাশে দাঁড়ালো কেএলও। কংগ্রেস থেকে বাম এবং তৃণমূল কংগ্রেসকে রাজনৈতিক নিশানা করলেও কেএলও প্রধান জীবন সিংহ গেরুয়া শিবির সম্পর্কে একটি কথাও বললেন না। প্রকাশ্যে আসা ভিডিও বার্তায় কেএলও প্রধান বলেন, নিশীথ প্রামাণিককে হত্যা করার চেষ্টা হচ্ছে। পদ্ম শিবির তথা বিজেপির হয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বক্তব্য পেশ করেন কেএলও (KLO)প্রধান। তাঁর অভিযোগ, বিধানচন্দ্র রায়ের মুখ্যমন্ত্রীত্বের সময় কাল থেকেই বঞ্চিত কোচবিহারের রাজবংশীরা। যাঁর সমান প্রভাব চালু ছিল বাম আমলে, যার কোনও পরিবর্তন হয়নি তৃণমূল আমলেও। তাঁর আরও অভিযোগ, রাজ্য সরকার নিশীথ প্রামাণিক, জন বার্লা অথবা শঙ্কর ঘোষদের ভাষা বোঝার কোনও চেষ্টাই করেন না। উল্টে রাজ্য সরকার নাকি নিশীথকে হত্যা করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। যা রাজবংশী সমাজ কোনওভাবেই মেনে নেবে না। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশংসা করে তাঁর দাবি, পৃথক কামতাপুর ও কোচবিহার রাজ্যের দাবি থেকে কোনেও মূল্যেই সরবে না কেএলও। যদি অন্যথা হয়, তার ফল হবে মারাত্মক বলে হঁশিয়ারি জীবনের। শনিবার দিনহাটার ২ নম্বর ব্লকে সাহেবগঞ্জ বিডিও অফিসে মনোনয়নপত্র পরীক্ষার কাজ চলছিল। বিডিও অফিস দখল করে রাখার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপির অভিযোগ, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ বিডিও অফিস দখল করেছিলেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক।বিডিও অফিসে পৌঁছতেই তাঁর গাড়িতে হামলা চলে অভিযোগ। সংঘর্ষে জড়ায় তৃণমূল এবং বিজেপি। নিশীথের অভিযোগ, তাঁর কনভয় লক্ষ্য করে হামলা চালায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। কনভয়ের অনতিদূরে বোমাবাজিও হয়েছে। উত্তেজিত জনতাকে সরাতে পুলিশ দু’পক্ষের উপর লাঠিচার্জ করে। বিডিও অফিস চত্বরে মোতায়েন পুলিশকর্মীদের কাছে অভিযোগ জানাতে যান নিশীথ। তখন পুলিশের সঙ্গেও একপ্রস্থ বচসা শুরু হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর।নিশীথের বলেন, বাংলায় ভীতিজনক পরিস্থিতি। রাজ্যে অরাজকতার চলছে। তিনি বলেন, উদয়ন গুহর নেতৃত্বে পুলিশ আর বিধায়ক একসঙ্গে মিলে আমাদের মারছে। আমার কনভয়ে তির ছোড়া হয়েছে। পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত নিন্দনীয়।তৃণমূলের পাল্টা দাবি, শান্তিপূর্ণভাবে স্ক্রুটিনি চলছিল। সেখানে নিশীথ প্রামানিক নেতৃত্বে প্রায় ৫০টি মোটর বাইকে করে বিজেপির লোকজন এসে উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি করেছেন। এ নিয়ে তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষের দাবি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সমস্ত অভিযোগ মিথ্যে।