অ্যাডিনো ভাইরাস মোকাবিলায় নয়া নির্দেশিকা জারি কলকাতা পুরসভার

করোনার পর এবার নয়া আতঙ্কের নাম অ্যাডিনো ভাইরাস। ইতিমধ্যেই রাজ্যের একাধিক জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। বাংলায় একাধিক শিশু এই ভাইরাসের বলি হয়েছে।  এই অবস্থায় অ্যাডিনো ভাইরাস নিয়ে গাইডলাইন প্রকাশ করেছেন কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য অধিকর্তা। 

অ্যাডিনো ভাইরাসের উপসর্গ

১) ৩ দিনের বেশি জ্বর। 
২) সর্দি-কাশি, নাক ও গলা ব্যথা।
৩) পেট খারাপ এবং বমির মতো সমস্যা, গা-হাত পায়ে ব্যথা। 
৪) শ্বাসকষ্টের সমস্যা 
৫) ঘন ঘন শ্বাস।
৬) অতীতে কিংবা এখন বাড়ির অন্য কারও এই উপসর্গ আছে কী না

কখন রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে 

১) তিন থেকে পাঁচ দিন টানা জ্বর।
২) ঘন ঘন শ্বাস।
৩) শ্বাসকষ্ট বৃদ্ধি।
৪) অক্সিজেনের মাত্রা ৯২ শতাংশের কম।
৫) খাওয়ার ইচ্ছে কমে যাওয়া।
৬) প্রস্রাব দিনে পাঁচ বারের কম হলে।
৭) খিঁচুনি, হৃদযন্ত্রজনিত সমস্যা, কিডনি কাজ না করলে।

রোগী বাড়িতে থাকলে কী করতে হবে

১) পরিমাণমতো জলপান এবং খাবার খাওয়া।
২) ডায়েরিয়া হলে ওআরএস খাওয়ানো।
৩)নিয়মিত দেহের তাপমাত্রা পরীক্ষা।
৪) খাওয়া এবং প্রস্রাব ঠিকমতো হচ্ছে কি না, তা মনিটর করা। 

প্রাথমিকভাবে কী ওষুধ দিতে হবে

১) প্যারাসিটামল (দিনে পাঁচ বারের বেশি নয়, দুই ডোজের মধ্যে অন্তত চার ঘণ্টার ব্যবধান) 
২) স্যালাই, ন্যাজাল ড্রপ 
৩) বমি বেশি হলে ডম্পেরিডন অথবা অন্ডান সেট্রোন।
প্রয়োজনে টেপিড স্পঞ্জিং করতে হবে অর্থাৎ সেঁক দিতে হবে।

বিপদের ঝুঁকি বেশি থাকলে তা বিস্তারিত জানাতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতাল কিংবা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। 

error: Content is protected !!