প্রয়াত ‘বলিউডের স্বনামধন্য প্রযোজক এজি নাদিয়াদওয়ালা

প্রয়াত হলেন বলিউডের স্বনামধন্য প্রযোজক এজি নাদিয়াদওয়ালা। আজ ভোর ৪ টে নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল প্রায় ৯১ বছর। সূত্রের খবর, গত কয়েক ধরেই মুম্বই ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন প্রবীণ প্রযোজক। এদিন ভোর ৪ টে নাগাদ তিনি কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এজি নাদিয়াদওয়ালার বাবা এ কে নাদিয়াদওয়ালাও একজন প্রযোজক ছিলেন। বর্তমানে ফিরোজের চাচাতো ভাই সাজিদ নাদিয়াদওয়ালাও, বলিউডের একজন স্বনামধন্য প্রযোজক। এদিকে, বহু বলিউড অভিনেতা অজয় দেবগন, প্রবীণ প্রযোজক এজি নাদিয়াদওয়ালার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি তাঁর অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে, প্রযোজককে আন্তরিক শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তাঁর মৃত্যুতে শোকাহত গোটা বলিউড ইন্ডাস্ট্রি। এজি নাদিয়াদওয়ালা ১৯৫৩ সালে ফিল্ম প্রযোজক হিসেবে নিজের কর্মজীবন শুরু করেন বলিউডে। ৬৯ বছর কেরিয়ারে তিনি প্রায় ৫০ টিরও বেশি হিন্দি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। তবে তিনি প্রদীপ কুমার এবং দারা সিং অভিনীত মহাভারত প্রযোজনার মাধ্যমে বিশেষত্ব পেয়েছিলেন। এখনও অবধি, এটিই ভারতীয় মহাকাব্য মহাভারতের উপর নির্মিত একমাত্র চলচ্চিত্র। এছাড়াও তিনি ওয়েলকাম (২০০৭), হেরা ফেরি (২০০০), আওয়ারা পাগল দিওয়ানা (২০০২) ইত্যাদি চলচ্চিত্রের প্রযোজক ছিলেন। তিনি ‘গাফফারভাই’ নামেও পরিচিত ছিলেন। বলিউডের আশির দশকে তিনি বলিউডে একাধিক চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। একজন প্রযোজক হিসাবে তাঁর প্রথম ছবি ছিল ধর্মেন্দ্র এবং রেখা-অভিনীত পারিবারিক নাটক ‘ঝুঠা-সাচ’, এরপরে তাঁর নির্মিত অ্যাকশন ড্রামাটি ছিল, ‘লাহু কে দো রঙ’। তাঁর প্রযোজিত এবং প্রিয়দর্শন পরিচালিত কমেডি হেরা ফেরি, যা ভারতীয় সিনেমার অন্যতম সেরা কমেডি হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল। এছাড়াও তিনি ‘আ গালে লাগা যাজাআ”শঙ্কর শম্ভু’, ‘লাহু কে দো রং’, ‘ওয়াতান কে রাখওয়ালে’, ‘সোনে পে সুহাগা’র মত বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন।

error: Content is protected !!