
ভারত সহ বিভিন্ন দেশের উপর আমেরিকা কতটা শুল্ক চাপাচ্ছে, ২ এপ্রিল মুক্তি দিবসে জানাবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প
ভারত সহ বিভিন্ন দেশের উপর পারস্পরিক শুল্ক আরোপ করার কথা ঘোষণা করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্টের ঘোষণা মোতাবেক, ২ এপ্রিল বুধবার এই শুল্কের পরিমাণ ঘোষণা হওয়ার কথা। আগেই বিভিন্ন জায়গায় দিনটিকে আমেরিকার ‘মুক্তি দিবস’ হিসাবে ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প। তার আগে সোমবার কোন কোন দেশের উপর শুল্কের খাঁড়া নামতে পারে, তার ইঙ্গিত দিয়ে রাখল হোয়াইট হাউস। ট্রাম্প আগেই জানিয়েছিলেন, যে দেশ আমেরিকার পণ্যে যেমন আমদানি শুল্ক চাপায়, সেই দেশের পণ্যের উপর ঠিক তত পরিমাণ শুল্ক চাপাবেন তাঁরা। সোমবার হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট জানিয়ে দেন, পারস্পরিক কর আরোপ করার ক্ষেত্রে কোনও ছাড় দেওয়া হবে না। তবে এই বিষয়ে সবিস্তার যা জানানোর, ট্রাম্পই জানাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। সোমবার ট্রাম্প জানিয়েছেন যে, তিনি শুনেছেন ভারত আমেরিকার পণ্যে শুল্কের হার কমাতে চলেছে। তবে এই বিষয়ে নয়াদিল্লির তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানানো হয়নি। একই সঙ্গে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানান, কোন দেশ আমেরিকার পণ্যে কত পরিমাণ শুল্ক আরোপ করে। তিনি বলেন, “ইউরোপীয় ইউনিয়ন আমেরিকার দুগ্ধজাত দ্রব্যে ৫০ শতাংশ, জাপান আমেরিকায় উৎপাদিত চালে ৭০০ শতাংশ, ভারত আমেরিকার কৃষিজাত পণ্যে ১০০ শতাংশ, কানাডা আমেরিকার দুগ্ধজাত দ্রব্যে প্রায় ৩০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে।” এর ফলে এই সমস্ত দেশের বাণিজ্যিক প্রতিযোগিতায় আমেরিকা অংশ নিতে পারে না বলে জানান তিনি। কারণ, আমদানি শুল্ক চাপানোর ফলে সংশ্লিষ্ট দ্রব্যগুলির দাম বহু গুণ বৃদ্ধি পায়। হোয়াইট হাউসের এই ঘোষণার পরে অনেকেই মনে করছেন, ভারত, কানাডা, জাপান কিংবা ইউরোপীয় ইউনিয়নের আওতাধীন দেশগুলি থেকে আমেরিকায় আমদানি হওয়া পণ্যে সমপরিমাণ শুল্ক চাপাতে চলেছেন ট্রাম্প। তবে এই বিষয়ে খুব বেশি কিছু স্পষ্ট করেননি হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র। তিনি বলেন, “বুধবার যা বলার প্রেসিডেন্ট বলবেন, কিন্তু পারস্পরিক কর নেওয়া হবে এবং আমেরিকার নাগরিকেরা সঠিক বিচার পাবেন।”