
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ! দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস
আশঙ্কা ছিল বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরির। এখনও পর্যন্ত সেই বিষয়ে কোনও সতর্কবার্তা জারি করেনি মৌসম ভবন। তবে মে মাসের শেষ দিকে বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা ক্রমশই প্রবল হচ্ছে। তাই সামনের কয়েক দিন বাংলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির দাপট চলবে বলেই মনে করা হচ্ছে। নিম্নচাপ অক্ষরেখার প্রভাবে আজ, শুক্রবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস আগেই দিয়েছিল আলিপুর হাওয়া অফিস। বৃহস্পতিবার তার মেয়াদ আরও কয়েক দিন বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, পাঞ্জাবের আকাশে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। ফলে পাঞ্জাব থেকে উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড এবং গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে যে নিম্নচাপ অক্ষরেখাটি বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছিল, সেটি আরও কিছুটা শক্তিশালী হয়েছে। তাই দক্ষিণের জেলাগুলিতে সন্ধের পর ঝড়–বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। ওই নিম্নচাপ অক্ষরেখার প্রভাব কাটার প্রায় সঙ্গেই সঙ্গেই বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে চলেছে নতুন একটি ওয়েদার সিস্টেম। বৃহস্পতিবার দুপুরে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ২৭ মে নাগাদ পশ্চিম–মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা খুব প্রবল। পরের ৪৮ ঘণ্টায় অর্থাৎ ২৯ মে’র মধ্যে ওই নিম্নচাপটি শক্তি বাড়িয়ে সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হবে। এর প্রভাবে ২৮ তারিখ থেকে দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলি মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি পেতে চলেছে। হাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে আজ, শুক্রবার ঝাড়গ্রাম, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং হুগলিতে ঘণ্টায় ৫০–৬০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া এবং তার সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের বাকি ১১টি জেলার প্রতিটিতেই ঘণ্টায় ৪০–৫০ কিলোমিটার গতিতে দমকা হাওয়া এবং তার সঙ্গে বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শনি, রবি ও সোমবার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই জোরালো বাতাস ও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা শুনিয়েছেন আবহবিদরা। বুধবার উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন জায়গায় ৭–১১ সেন্টিমিটার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে যে নিম্নচাপ তৈরি হতে চলেছে, তার প্রভাবেই এমনটা হবে বলে জানাচ্ছেন আবহবিদরা। তবে রাজ্যের উত্তর ভাগ সেই তুলনায় ‘শান্ত’ থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে।