
নিয়মরক্ষার ম্যাচে দাপুটে পারফরম্যান্স, ৩৩ রানে জয়ী লখনৌ সুপার জায়ান্টস
খাতায় কলমে ম্যাচটা হলেও এটার গুরুত্ব ছিল না। ম্যাচটা পূর্ব নির্ধারিত হওয়ায় খেলতে নেমেছিল গুজরাত টাইটান্স ও লখনৌ সুপার জায়ান্টস। গুজরাত আগেই প্রবেশ করেছিল প্লে-অফের আর অন্যদিকে ছিটকে গিয়েছিল লখনৌ। সেই ম্যাচ ৩৩ রানে জিতল লখনৌ সুপার জায়ান্টস। ম্যাচের ফলের উপর পয়েন্ট টেবলের ওঠাপড়া নির্ভর না করলেও ম্যাচটা জিতে স্বস্তিতে রইল LSG। একটা দল তখনই সাফল্য পায় যখন সেই দলের প্রতিটা বিভাগে প্লেয়াররা সাফল্য পান। সেটা এবার দেখা যায়নি লখনৌ সুপার জায়ান্টসের ক্ষেত্রে। দলে মিচেল মার্শ, নিকোলাস পুরান, ঋষভ পন্থদের মতো প্লেয়াররা থাকলেও কেউ ক্লিক করছিলেন না। এ বার তাঁরা ক্লিক করলেন। IPL থেকে ছিটকে যাওয়ার পর LSG-র প্লেয়াররা ক্লিক করলেন এবং পরাস্ত করলেন গুজরাত টাইটান্সকে। গুরুত্বহীন ম্যাচে দাপট দেখাল লখনৌ। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে তারা ২৩৫ রানের একটা বড় স্কোর সেট করে। মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে এই রান করে। এইডেন মারক্রাম ও মিচেল মার্শের ওপেনিং জুটি তোলে ৯১ রান। ৩৬ রানে মারক্রাম ফেরার পর দলের হাল ধরেন নিকোলাস পুরান ও মিচেল মার্শ। এই জুটি করে ১২১ রান। মার্শ ১১৭ রানে ফিরলেও ততক্ষণে দল বড় রানের দিকে চলে গিয়েছিল। এটা ছিল IPL-এ মার্শের প্রথম সেঞ্চুরি। নিকোলাস পুরান করেন ৫৬ রান। লম্বা সময় পর তিনি হাফ সেঞ্চুরি পেলেন IPL-এ। এই দুই তারকা এমন একটা ম্যাচে জ্বলে উঠলেন যেই ম্যাচের গুরুত্ব নেই। ঋষভ পন্থ এই ম্যাচে করেন ১৬ রান। রান তাড়া করতে নেমে গুজরাত টাইটান্সের কেউ বড় রান না পেলেও প্রত্যেক ব্যাটার রান পান। সাই সুদর্শন, শুবমান গিল, জশ বাটলার, শেরফান রাদারফোর্ড করেন যথাক্রমে ২১, ৩৫, ৩৩, ৩৮ রান। শাহরুখ খান শেষে লড়াই দিলেও তিনি দলকে জেতাতে পারেননি। শাহরুখ করেন ৫৭ রান। তবে লখনৌয়ের বোলারদের দাপটে দাঁড়াতে পারেননি গুজরাতের কোনও ব্যাটার। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২০২ রান করে গুজরাত। লখনৌয়ের হয়ে তিনটি উইকেট নেন উইলিয়াম ওরুরকি। দুটি করে উইকেট নেন আবেশ খান ও আয়ুষ বাদোনি। একটি করে উইকেট নেন আকাশ মহারাজ সিং ও শাহবাজ আহমেদ।