ওড়িশার বালেশ্বরে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ৫ লক্ষের ক্ষতিপূরণের ঘোষণা
ওড়িশায় বালেশ্বরের কাছে চেন্নাইগামী করমন্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা স্থলে যাবেন সেটাই এদিন সকালে নিশ্চিত ভাবেই জানানো হয় নবান্ন থেকে। সেই মতন দেখা যায় নবান্নের অদূরে হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে থাকা হেলিপ্যাড থেকে হেলিকপ্টারে করে বেলা ১১টা নাগাদ ওড়িশার বালেশ্বরের পথে রওয়ানা দেন মুখ্যমন্ত্রী। বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ তিনি বালেশ্বরে পৌঁছান। সেখানে অস্থায়ী হেলিপ্যাড থেকেই তিনি সরাসরি চলে যান দুর্ঘটনাস্থলে। সেখানে তিনি কথা বলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গেও। এরপরে মুখ্যমন্ত্রী সেখানে থেকে স্থানীয় হাসপাতালে যাবেন যেখানে এই দুর্ঘটনায় বেশ কিছু মানুষ ভর্তি রয়েছেন যারা এই রাজ্যের বাসিন্দা। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের সঙ্গে কথা বলবেন। মুখ্যমন্ত্রী দুর্ঘটস্থলে দাঁড়িয়েই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় জানান, বাংলার মানুষই সব থেকে বেশি মারা গিয়েছেন এই দুর্ঘটনায়। এখনও পর্যন্ত তাঁদের অনেকেরই কোনও সন্ধান মিলছে না। রেল যেমন ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে তেমনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারও মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে এককালীন আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেবে। তবে মুখ্যমন্ত্রী যেহেতু এর আগে দুই দফায় রেলমন্ত্রী হিসাবে কাজ করেছেন সেই কারণে এদিন তিনি জানিয়েছেন। এই ঘটনা স্বাভাবিক নয়। তাঁর দাবি, ‘কিছু একটা নিশ্চয়ই হয়েছে। সঠিক তদন্ত করা হোক। রেলে সমন্বয়ের অভাবও প্রকট হচ্ছে।’ দুর্ঘটনায় যারা আহত হয়েছেন তাঁদের অনেককেই মেদিনীপুর ও খড়গপুরে নিয়ে গিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে তাঁদের চিকিৎসা চলছে। আরও কয়েকজনকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে। দুর্ঘটনাস্থল থেকেই মুখ্যমন্ত্রী রওয়ানা দেন স্থানীয় হাসপাতালের উদ্দেশ্যে যেখানে বাংলায় শতাধিক মানুষ ভর্তি রয়েছেন চিকিৎসার জন্য।