উপনির্বাচনের জেরে বদলাল উচ্চমাধ্যমিকের সূচি

উপনির্বাচনের জেরে বদলাল উচ্চমাধ্যমিকের সূচি, ৬ থেকে ১৫ এপ্রিল থাকছে না কোনও পরীক্ষা ৷ বৃহস্পতিবার নবান্নে এই ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ চলতি বছরে ২ এপ্রিল থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরুর নির্ঘণ্ট আগেই ঘোষণা করেছিল উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ ৷ কিন্তু, রাজ্যের পূর্ব ঘোষিত ওই সময়সূচির মধ্য়েই আসানসোল লোকসভা ও বালিগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন ও জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা পড়েছে ৷ তাই মনে করা হচ্ছিল জটিলতা এড়াতে উচ্চমাধমিকের দিনক্ষণ বদলাতে পারে ৷ এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, নির্ধারিত সূচি মেনেই আগামী ২ এপ্রিল শুরু হবে উচ্চমাধ্যমিক ৷ ওইদিন হবে প্রথম ভাষার পরীক্ষা ৷ দ্বিতীয় ভাষার পরীক্ষা হবে ৪ এপ্রিল ৷ ৫ এপ্রিল হবে ভোকেশনাল বিষয়ের পরীক্ষা ৷ মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন, উপনির্বাচন থাকায় এবং ১৪ ও ১৫ এপ্রিল ছুটির দিন থাকায় ৬ এপ্রিল থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত উচ্চমাধ্যমিকের কোনও পরীক্ষা হবে না ৷ ১৬ এপ্রিল আবার পরীক্ষা হবে ৷ ২১ এপ্রিল ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির জয়েন্ট থাকায় সেদিনও কোনও পরীক্ষা থাকছে না ৷ রাজ্য জয়েন্ট পরীক্ষা হবে ৩০ এপ্রিল ৷ এদিন উচ্চমাধ্যমিকের নয়া নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক করেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং শিক্ষা দফতরের সচিবের সঙ্গে ৷ প্রায় শেষ লগ্নে এভাবে পরীক্ষার সূচি বদলানোয় এদিন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ বলেছেন, এছাড়া আর কোনও উপায় না থাকায় বাধ্য হয়ে এই সূচি বদলানো হল ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন এবিষয়ে নির্বাচন কমিশনের প্রতি ক্ষোক্ষ উগড়ে দিয়ে বলেন, “যদি পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের সঙ্গে এই উপনির্বাচন দু‘টি করা হত তাহলে এত সমস্যা হত না ৷ কমিশন স্থানীয় নির্বাচনকে গুরুত্ব দেয় না ৷ পুলিশ স্কুলে থাকবে, স্কুলে বুথ হবে, প্রচার হবে তার মাঝে পরীক্ষা হবে কী করে? আমাদের মুখ্যসচিব এই সমস্যার কথা জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন কমিশনকে ৷ কিন্তু কমিশন বলছে ৬ মাসের মধ্যে উপনির্বাচন করাতে হয়, এটা নিয়ম ৷ তাহলে কমিশনের এটা আগে ভাবা উচিত ছিল ৷ বিজেপি যেদিন বলবে সেদিন ভোট করাতে চাইছে কমিশন ৷ নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগে কমিশনের উচিত ছিল পরীক্ষার সূচি দেখে নেওয়া ৷ “

error: Content is protected !!