
শালবনি থেকে ২১২টি প্রকল্পের শিলন্যাস এবং ১১০টি প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী
মেদিনীপুরের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে একগুচ্ছ নতুন প্রকল্পের ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। মঙ্গলবার মেদিনীপুর কলেজ মাঠে প্রশাসনিক সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকেই উদ্বোধন করেন গোয়ালতোড়ে ১০৫ মেগাওয়াটের একটি সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প। এদিনের প্রশাসনিক সভা থেকে মোট ২১২টি প্রকল্পের শিলন্যাস এবং ১১০টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এদিনের সভায় প্রথম ভাষণ দেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। এরপরেই জেলার মানুষদের হাতে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন এবং শিলন্যাস করেন মমতা। গোয়ালতোড়ে পূর্ব ভারতের সবচেয়ে বড় সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। ১০৫ মেগাওয়াটের এই বিদ্যুৎ প্রকল্পের ব্যয় ৭৫০ কোটি টাকা। এছাড়াও, ৩৩.৮৫ কোটি খরচে মেদিনীপুরে জল সংশোধনাগার, ঘাটাল ও খড়্গপুরে জলের প্রকল্পের জন্য ১৯৪ কোটি, ৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ক্ষীরপাই-রামজীবনপুর রাস্তা, পুরুলিয়া সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং বক্রেশ্বরে ২০০ মেগাওয়াট ভাসমান সোলার প্ল্যান্ট তৈরির কথা ঘোষণা করেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী জানান, যত বেশি সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন হবে, তত বিদ্যুতের দাম কমবে। তিনি আরও জানান, শালবনির ২০০০ একর জমিতে ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরি করা হবে। সেখানে জেলার ছেলেমেয়েরা চাকরির সুযোগ পাবেন। মেদিনীপুরে প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কাল পেলেন শালবনি, আজ পেলেন গোয়ালতোড়, রাজ্যে শিল্পের সম্ভাবনা বেড়েই চলেছে।” মুখ্যমন্ত্রী জানান, মঙ্গলবারের প্রশাসনিক সভা থেকে জানান ৮ লক্ষ মানুষকে সরকারি প্রকল্পের সুবিধাপ্রদান করা হয়েছে। এরপরেই শিল্প নিয়ে বিরোধীদের তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “অনেকে বলে কোথায় শিল্প, সবটাই গল্প। কিন্তু এটা বোঝেনা গল্পেই জীবনের শুরু। শিল্পকে গল্পের পর্যায়ে ফেললে হবে না। শিল্প কর্মসংস্থান তৈরি করে, কর্মসংস্থান আর্থিক উন্নতি করে।” দেউচা পাঁচামি খনির কথাও নিজের বক্তব্যে উল্লেখ করলেন মমতা। তিনি বলেন, “দেউচা পাঁচামি প্রকল্প হয়ে গেলে আগামী ১০০ বছর ভাবতে হবে না এই প্রকল্পে এক লক্ষ লোকের কর্মসংস্থান হবে।”