প্ররোচনায় পা দেবেন না, শান্তিপূর্ণ ভাবে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অধিকার সবারই আছে, তবে আইন হাতে তুলে নেবেন নাঃ মুখ্যমন্ত্রী

কালীঘাট মন্দিরে স্কাইওয়াকের উদ্বোধনে গিয়েও আইন হাতে না তুলে নেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষকে অনুরোধ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোনও প্ররোচনায় পা না দেওয়ার জন্যও আবেদন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুর্শিদাবাদ সহ রাজ্যের কয়েকটি জায়গায় ওয়াকফ বিক্ষোভের জেরে অশান্তির পরিপ্রেকক্ষিতে ফের এই আবেদন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দীর্ঘ অপেক্ষার পর বাংলা নববর্ষের আগের দিন আজ কালীঘাট মন্দিরে স্কাইওয়াকের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের মতোই এ বার এই স্কাইওয়াক ব্যবহার করে সহজে কালীঘাট মন্দিরে পৌঁছে যেতে পারবেন পুণ্যার্থীরা৷ পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছে হকারদেরও। কালীঘাট মন্দিরের এই স্কাইওয়াক দৈর্ঘ্যে ৪৩৫ মিটার এবং চওড়ায় ১০.৫ মিটার৷ কালীঘাট মন্দির চত্বরের তিনটি জায়গা দিয়ে এই স্কাইওয়াকে প্রবেশ করা যাবে৷ মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, স্কাইওয়াক উদ্বোধন হওয়ার ফলে কালীঘাট মন্দির চত্বরে যানজট কমবে৷। নতুন স্কাইওয়াক দিয়ে হেঁটে মন্দিরে পৌঁছে পুজোও দেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দক্ষিনেশ্বরে পুরো জায়গা থাকলেও কালীঘাট এলাকাটা ভীষণ ঘিঞ্জি এবং এখানে জনসংখ্যা বেশি। এই স্কাইওয়াক তৈরি করাটা বিরাট একটা পরিকল্পনার ব্যাপার। সবাই সহযোগিতা করেছেন। নববর্ষের আগে নানা ধর্মের অনুষ্ঠান হয়। তারাপীঠ এ নতুন করে সাজানো হয়েছে। গলিটা জায়গা নেই, তাহলে স্কাই ওয়াক করে দিতাম। তারকেশ্বর থেকে বক্রেশ্বর, ভবানীপুরে শিখ সম্প্রদায়ের গেট হবে। ধর্ম যার যার উৎসব সবার।’ এর পরই ওয়াকফ আইনকে কেন্দ্র করে রাজ্যে সাম্প্রতিক অশান্তির ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,’ ধর্ম মানে মানবিকতা। ভালবাসলে এক করা যায়। সবার কাছে আবেদন, শান্তিপূর্ণ ভাবে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অধিকার সবারই আছে। যেই হোন না কেন, আইন হাতে তুলে নেবেন না। প্ররোচনায় পা দেবেন না৷’ মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ধর্ম যার যার নিজের, তবে উৎসব সবার । এই অবস্থায় অনুমতি নিয়ে যে কেউ আন্দোলন করতে পারে । তবে অবশ্যই তা শান্তিপূর্ণ হতে হবে ।

error: Content is protected !!