
শেষ মুহূর্তের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সভাস্থলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
আগামীকাল ২১ জুলাই শহিদ দিবস। শেষ মুহূর্তের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সভাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তাঁর সঙ্গে রয়েছেন মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। এর কিছুক্ষণ আগেই সভাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন সর্ব ভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর তৃণমূলের যুবরাজ গিয়েছেন গীতাঞ্জলী স্টেডিয়ামে আগত কর্মী ও সমর্থকদের থাকার জায়গা পরিদর্শনে। বুধবার বিকেল ৫ টা ৩০ নাগাদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয় এসে উপস্থিত হন সভাস্থলে। মুখ্যমন্ত্রী দেখে নেন শেষ মুহূর্তের পরিস্থিতি। আলোচনা করেন শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে। মঞ্চের পাশে বেন্টিং স্ট্রিটে চেয়ারে পেতে বসেন তৃণমূল সুপ্রিমো ও শীর্ষ নেতৃত্ব। উল্লেখ্য, মঞ্চ ও সংলগ্ন এলাকা জুড়ে কড়া পুলিশি প্রহরা। সিসিটিভিতে মুড়ে ফেলা হয়েছে চত্ত্বর। অন্যান্য বারের চেয়ে বড় এবারের স্টেজ। দৈর্ঘ্য ৮০ ফুট, প্রস্থ ৪৬ ফুট। মূল মঞ্চ বিভক্ত ৩ টি ভাগে। মঞ্চে বসতে পারবেন ৫০০ জন। মঞ্চের সামনে রয়েছে পোডিয়াম। দৈর্ঘ্য ১২ দুট, প্রস্থ ৮ ফুট। তৃণমূল সুপ্রিমোর প্রবেশের জন্য করা হয়েছে আলাদা গেট। সভাস্থল জুড়ে রয়েছে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা। প্রথম জোনের দায়িত্বে থাকবেন ১ জন ডিসি, ৩ জন এসি, ৫ জন ইনস্পেক্টর, ৫ জন এসআই, ৩০ জন পুলিশকর্মী, র্যাফ ও ২০ সদস্যের উইনার্স টিম। দ্বিতীয় জোনের দায়িত্বে থাকবেন ১ জন ডিসি, ৩ জন এসি, ৬ জন ইনস্পেক্টর, ১২ জন এসআই, ১৭ জন এএসআই ও ৬৫ জন পুলিশকর্মী। তৃতীয় জোনের দায়িত্বে থাকবেন ১ জন ডিসি ও ৫ জন এসি। মঞ্চে প্রথম জোনে থাকবেন তৃণমূল সুপ্রিমো ও তৃণমূলের প্রথম সারির নেতৃত্ব। দ্বিতীয় জোনে থাকবেন শহিদ পরিবারের সদস্য ও দলের দ্বিতীয় সারির নেতৃত্ব। অন্যদিকে প্রতি বছরের মতো সমাবেশে লাখ লাখ মানুষের জমায়েত হবে হবে বলে মনে করছেন তৃণমূল। এর ফলে ধর্মতলায় মূল মঞ্চস্থলের কাছে পৌঁছতে পারবেন না বেশিরভাগ কর্মী সমর্থক। আর তার জন্য যাতে দলনেত্রীর ভাষণ শুনতে কর্মীদের কোনও অসুবিধা না হয় সেই কারণে শহরের রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় বসানো হচ্ছে জায়ান্ট স্ক্রিন। যেখানে কর্মীরা দেখতে পাবেন সমাবেশের পুরো অনুষ্ঠানটি।