
রাজ্যে বকেয়া অর্থ আদায়ে দিল্লি গেলেন মুখ্যমন্ত্রী, বয়েছে একাধিক কর্মসূচি
দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিলেন মমতা৷ বিকেলের মধ্যেই রাজধানীতে পৌঁছে যাওয়ার কথা তাঁর৷ দিল্লিতে রওনা দেওয়ার আগে সাংবাদিকদেরও মুখোমুখি হন মুখ্যমন্ত্রী৷ আগামী চার দিন ঠাসা কর্মসূচি নিয়ে দিল্লি যাচ্ছেন তিনি৷ মোদির সঙ্গে বৈঠক থেকে শুরু করে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র সঙ্গে বৈঠকেও যোগ দেওয়ার কথা তাঁর৷ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পরিকল্পনা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পাশাপাশি তিনি দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকেও যোগ দেবেন। সেইসব একাধিক কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাওয়ার পথে কলকাতা বিমানবন্দরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আগামিকাল এমপিদের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে। সোমবার ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে যোগ দেব। পরদিন বেলা এগারোটা নাগাদ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময়ে চেয়েছি। কয়েকজন সাংসদকে নিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করব বলে আমি বলেছিলাম। বাংলার একশো দিনের কাজের টাকা আটকে রেখেছে। কোনও টাকা দেয়নি। বাংলাকে বঞ্চিত করা হয়েছে। গ্রামীণ রাস্তার টাকা আটকে রাখা হয়েছে। এগুলি কেন্দ্রের প্রকল্প। কিন্তু টাকাটা কেন্দ্রের একার নয়। কেন্দ্র ট্যাক্সের যে টাকা তুলে নিয়ে যায় সেখান থেকে টাকা দেয়। আর আর আমরা আমাদের ভাগটা দিই। স্বাস্থ্য দফতরের টাকাও বন্ধ করে দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সেনাকে নিয়ে আমরা গর্ব করি। সেদিন শিলিগুড়ির আগে সুখনার ওখানে দেখলাম সব বাড়িগুলোকে গেরুয়া করে দিয়েছে। আমাদের বলছে সব স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গেরুয়া রঙ করে দিতে হবে। কেন করব? আমাদের রাজ্যের তো একটা ব্র্যান্ড রয়েছে-নীল-সাদা। এটাকে কোনও দলের ব্র্যান্ড নয়। আমরাই প্রথম রঙ দেওয়া শুরু করি সরকারি ভবনে। প্রতিটি জায়গায় বিজেপির লোগো লাগাতে হবে? আর বিজেপির কালার করতে হবে? মানুষের স্বাঝীনাতা বহলে কিছু থাকবে না? কে কী খাবে সেটাই ঠিক করে দেবে? কে কী পরবে সেটাও ঠিক করে দেবে? সিলেবাসে যা ইচ্ছে তাই ঢোকাবে? মানুষের মাথা খারাপ করে দেওয়ার একটা পরিকল্পনা। এসব নিয়ে আমরা আওয়াজ তুলছি। এসব কথা আমার বক্তব্যের মধ্যে থাকবে। সংসদে দুই যুবকের হানা নিয়েও মুখ খোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এটা একেবারেই নিরাপত্তা ব্য়বস্থার ব্যর্থতা। স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী তা স্বীকারও করেছেন। অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। এনিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এনিয়ে তদন্ত হচ্ছে। আমরা কখনও নিরাপত্তা নিয়ে কোনও আপস করতে পারি না। ওই হানার সঙ্গে বাংলার কোনও যোগাযোগ নেই। যারা তদন্ত করছেন তাদের তদন্ত নিরপেক্ষা হোক আমরা চাই। আমরা কোনও উল্টোপাল্টা মন্তব্য করি না। যেটা বলব সেটা দায়িত্ব নিয়ে বলব। আমরা তো আবোলতাবোল বকি না! বাংলার কুত্সা করাই ওদের সারাক্ষণের কাজ। কোনও অপরাধমূলক কাজকে প্রশ্রয় দেয় না বাংলা। রাজ্যের বকেয়া টাকা আদায় নিয়ে অভিষেকের নেতৃত্বে দিল্লি গিয়েছিল তৃণমূলের বিশাল প্রতিনিধিদল। সেই আন্দোলন নিয়ে বিস্তর হইচই হয়েছিল রাজধানীতে। আন্দোলনটা বহুদিন ধরেই চলছে। আমি নিজেও ধর্না করেছি। বিধানসভাতেও ধর্না হয়েছে। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রস্তাবও পাস হয়েছে। এর আগেও তিনবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি। ফের বৈঠক করতে চলেছি।তিনি বলেন, “১৭ তারিখে দিল্লি যাব। বাংলার অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে। সেটা ফিরিয়ে নিতে যাব। প্রধানমন্ত্রীর থেকে সময় চেয়েছি। আমার পয়সা ফেরত নিতে দিল্লি যাচ্ছি।” প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সংসদের সাম্প্রতিক ঘটনা প্রসঙ্গেও কথা বললেন বলে জানান তিনি৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সংসদের বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপত্তায় গাফিলতি। ডেরেককে সাসপেন্ড করেছে। আরও অনেককে করেছে। আমরা চাই তদন্ত যথাযথ হোক। বাংলার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। আমরা দায়িত্ব নিয়ে কথা বলব।’’