হায়দরাবাদে চারমিনারের কাছে গুলজার হাউসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, মৃত ২ শিশু সহ ১৭, আহত ২০, শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর

 চারমিনারের সামনে ঐতিহাসিক গুলজার হাউসে ভয়াবহ আগুন ৷ হাউসের প্রথম তলায় আগুন লাগে আজ (রবিবার) সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে ৷ যার জেরে ঝলসে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১৭ জনের ৷ আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন । মৃতদের মধ্যে দুই শিশুও রয়েছে। খবর পেয়ে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ১১টি ইঞ্জিন ৷ দমকল বিভাগের একজন কর্মকর্তার মতে, সকাল সাড়ে ছ’টার নাগাদ তাঁরা ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান। বেশ কয়েকজনকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে ৷ পুলিশ ও স্থানীয়দের চেষ্টায় আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওসমানিয়া, যশোদা (মালাকপেট), ডিআরডিও এবং অ্যাপোলো হাসপাতালে বর্তমানে ২০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন । দমকল আধিকারিকদের প্রাথমিক অনুমান, শর্ট সার্কিটের কারণেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে। তবে আগুনের ভয়াবহতা এতটাই ছিল যে, দমকল কর্মীদের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে ৷ বেসরকারি হাসপাতালের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, ১৭ জনকে মৃত অবস্থায় আনা হয় হাসপাতালে ৷ তাঁদের শরীরের অধিকাংশটাই জ্বলে গিয়েছিল ৷ হায়দরাবাদে এই অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় ইতিমধ্যেই শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । তিনি এক্স পোস্টে লিখেছন, “যাঁরা তাঁদের প্রিয়জনদের হারিয়েছেন তাঁদের প্রতি আমার সমবেদনা । আহতরা শীঘ্রই সুস্থ হয়ে উঠুক। প্রধানমন্ত্রী জাতীয় তহবিল থেকে নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। আহতদের ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হবে ৷” ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেভান্থ রেড্ডিও ৷ এক্স পোস্টে তিনি লেখেন, “পুরনো শহর মীর চকে… ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড… অনেকে মারা গিয়েছে… এটা বিরাট ধাক্কা দিল । ত্রাণ প্রচেষ্টা জোরদার করুন আহতদের উন্নত চিকিৎসা প্রদানের জন্য… আমি অফিসারদের নির্দেশ দিয়েছি ।” তিনি প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন যে, এখনও যাঁরা ওই ভবনে আটকে পড়েছেন তাঁদের উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নিতে ।