
মধ্যরাতে খিদিরপুর বাজার আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ২০টি ইঞ্জিন
মধ্যরাত ১টা ১৫ মিনিট নাগাদ খিদিরপুর বাজারে আগুন লাগে ৷ ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় মুহূর্তের মধ্যে আগুন বিশাল আকার নেয়। সোমবার সকাল পর্যন্ত আগুন জ্বলতে থাকে ৷ খবর পেয়ে এক এক করে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ২০টি ইঞ্জিন ৷ কয়েক দশক পুরনো এই বাজারে অগ্নিকাণ্ডের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু দোকান ৷ ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম-সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও অজানা ৷ তবে, ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে হাজারেরও বেশি দোকান। তাই সর্বস্ব হারিয়ে রাতারাতি পথে বসেছেন কয়েকশো ব্যবসায়ী। দমকলে খবর দেওয়া হলেও আসতে দেরি করে বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়দের একাংশ। তবে বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে বলে জানা গিয়েছে ৷ কুলিং ডাউন প্রসেসিং চালু রয়েছে। তবে কী কারণে আগুন লেগেছে তা স্পষ্ট নয়। স্থানীয়দের অনুমান, বাজারে তেলের গুদাম ছিল। যে কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়দের অভিযোগ, দমকলে খবর দেওয়ার প্রায়ই এক-দু’ঘণ্টা বাদে ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয়। স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি, খিদিরপুর বাজারে ১৩০০ দোকান রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৬০০ দোকান়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। সঠিক সময়ে দমকলের ইঞ্জিন এসে পৌঁছালে এবং আগুন নেভানোর কাজ শুরু হলে এতটা ক্ষয়ক্ষতি হত না। স্থানীয়দের আরও অভিযোগ, রাত ১টার পরে আগুন লাগলেও প্রায় পৌনে তিনটে নাগাদ দমকলের ইঞ্জিন এসে পৌঁছয়। তাঁরা প্রাথমিকভাবে গঙ্গা থেকে জল তুলে আগুন নেভানোর পরিকল্পনা করলেও তা বিফলে গিয়েছে ৷ দেরি হওয়ায় আগুন আরও ছড়িয়ে পড়ে। তবে ধাপে ধাপে প্রায় দমকলের ২০টি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে পুলিশ প্রশাসনের তরফে ৷ আজ সকালে ঘটনাস্থলে দমকলমন্ত্রী গেলে ইঞ্জিন দেরি করে পৌঁছনোর বিষয়টি স্থানীয়রা জানান ৷ সুজিত বসু বলেন, “গাড়ি এসে পৌঁছতে কিছুটা সময় লাগে। দোকান বসানোর সময় কেউ কোনওদিন নিয়মই মানেন না। তার মানে আমি যে কাউকে দোষারোপ করছি এমনটা নয়। কী ঘটনা ঘটেছে, তা সঠিকভাবে তদন্ত করে দেখব।”