
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন আমেরিকানরা, সামিল ৫০ অঙ্গরাজ্যেই
আমেরিকানদের কখা ভেবেই, তাঁদের উন্নয়ন করতেই প্রেসিডেন্ট হয়েছেন। বারবার এমনটাই দাবি করে আসছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আমেরিকার নির্বাচনে তাঁর এজেন্ডাই ছিল মার্কিন মুলুককে আরও শক্তিশালি করে তোলা। মার্কিন মুলুককে ফের সর্বশ্রেষ্ঠ দেশ হিসেবে গড়ে তোলা। ভোটপ্রচারে সেই কথাই বারবার বলে এসেছেন ট্রাম্প। সেই কারণেই মার্কিনিদের ঢালাও ভোট পেয়ে দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হয়েছেন তিনি। কিন্তু ক্ষমতায় বসার চারমাসের মাথাতেই ট্রাম্পকে ঘিরে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হল আমেরিকাজুড়ে। ক্ষোভ চরমে পৌঁছে গিয়েছে। যে মার্কিনিরা তাঁকে ভোট দিয়ে ফের ক্ষমতায় এনেছেন, তাঁরাই এবার রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর উপদেষ্টা ধনকুবের ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে দেশটির ৫০ অঙ্গরাজ্যের সব কটিতে বিক্ষোভ করেছেন লাখ লাখ মানুষ। ট্রাম্পের নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভকারীরা বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জনগণের অধিকার ও স্বাধীনতা হরণ করছেন।শনিবার(স্থানীয় সময়) সকাল থেকেই ট্রাম্প বিরোধী আন্দোলনে উত্তেজনা ছড়িয়েছে নিউইয়র্ক, কলোরাডো, হিউস্টন, লস অ্যাঞ্জেলেস ও ওয়াশিংটনের রাস্তাতে। যা রীতিমতো অস্বস্তিতে ফেলেছে ট্রাম্প প্রশাসনকে। লাখে লাখে লোক রাস্তায় নেমে একটাই কথা বলছেন, ‘আমেরিকার কোনও রাজা নেই। আমেরিকায় ফ্যাসিবাদ চলবে না।’ ট্রাম্পের পাশাপাশি বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে টেসলা কর্তা এলন মাস্কের বিরুদ্ধেও। এই বিক্ষোভ কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে, ‘হ্যান্ডস অফ’। কিন্তু কেন এই বিক্ষোভ? বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে বসেই একাধিক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যার মধ্যে হল নিজের প্রশাসনে প্রচুর কর্মী ছাঁটাই, অভিবাসীদের হাতে হাতকড়া পরিয়ে দেশে ফেরত পাঠানো, তৃতীয় লিঙ্গ বা রূপান্তরকামীদের স্বীকৃতি না দেওয়া ও সর্বশেষ নতুন শুল্ক নীতি। এই সব বিষয়ে ক্ষুব্ধ আমেরিকাবাসী। বিশেষ করে, ট্রাম্পের নতুন শুল্ক নীতিকে কেন্দ্র করে দেশের বাইরে ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। ইউরোপের একাধিক দেশ, ব্রিটেন, এশিয়ার কয়েকটি দেশ ক্ষুব্ধ ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে। চীন সরাসরি শুল্ক যুদ্ধে নেমেই পড়েছে। যার ফলে গোটা বিশ্বে তো বটেই আমেরিকাতেও মন্দার আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে। আর সেই কারণেই এবার ঘরেও অর্থাৎ মার্কিন মুলুকেও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছে সাধারণ মানুষ। পরিসংখ্যান বলছে, শুধুমাত্র ওয়াশিংটনেই প্রায় ২০ হাজার মার্কিনিরা রাস্তায় নেমে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বা দেখাচ্ছেন। যদিও এইসব বিষয়ে মাথা ঘামাতে নারাজ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। তিনি আমেরিকাবাসীর উদ্দেশ্যে স্পষ্ট বলেছেন, ‘এটি একটি অর্থনৈতিক বিপ্লব। এতে আমরা জিতবই। কঠিন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’