
উত্তরপ্রদেশে অপহরণ করে জঙ্গলের নিয়ে গিয়ে নাবালিকাকে গণধর্ষণ, অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়কের ভাইপো সহ ৩
প্রথমে অপহরণ, তারপর জঙ্গলের মধ্যে একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে তিনজন মিলে ধর্ষণ করে নাবালিকাকে ৷ উত্তরপ্রদেশের আমেঠির অন্তর্গত মোহনগঞ্জ থানার এই ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্তের মধ্যে রয়েছে বিজেপি বিধায়কের ভাইপো ৷ অভিযুক্তের বাবা বর্তমানে গ্রামের প্রধান ও মামা বিজেপির প্রাক্তন মন্ত্রী ছিলেন ৷ মেয়েটির পরিবারকে ৮০ হাজার টাকা দিয়ে মুখবন্ধ করার কথা বলেন অভিযুক্ত রবির বাবা ৷ মেয়েটির মা বারবার পুলিশের দ্বারস্থ হন, তবে হুমকি দিয়ে তাঁকে বলা হয় পুলিশ প্রভাবশালী কোনও ব্যক্তির সঙ্গে লড়াই করতে পারবে না ৷ মেয়েটির মায়ের সমস্ত অভিযোগকে পুলিশ অবশ্য অস্বীকার করেছেন ৷ আমেঠির এএসপি (সহকারী পুলিশ সুপার) শৈলেন্দ্র সিং বলেন, যা সত্য তার মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। মহিলার করা অন্যান্য অভিযোগ (পুলিশকে নিয়ে বলা) ভিত্তিহীন ৷” প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে যায় ৷ সেইসঙ্গে মেয়ে আমার বাড়িতে থাকা ৮০ হাজার টাকা ও কিছু গয়নাও সঙ্গে নিয়ে বেপাত্তা হয়ে যায় ৷ আমাদের বাড়ির চারপাশে পাঁচিল দেব বলে ওই টাকা বাড়িতে রাখা ছিল ৷ নিখোঁজ হওয়ার পরদিন, আমার মেয়েকে রায়বরেলি বাস স্টপে পাওয়া যায়। তখন ও আমাকে জানায় যে রবি-সহ তিন অভিযুক্ত একটি জঙ্গলে তাকে নিয়ে যায় ৷ এরপরই ওরা একেএকে তাকে যৌন নির্যাতন করে ৷ ওখানেরক একটি কুঁড়েঘরে ফেলে রেখে রাতভর ৷ সমস্ত টাকা ও গয়নাও নিয়ে ওরা পালিয়ে যায় ৷ মেয়ে আমার কোনওরকমে ওখান থেকে পালিয়ে আসে ৷” এরপরই নির্যাতিতার মা মেয়ের নির্যাতনের বিচার চেয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করতেই ঘটনাটি সামনে আসে ৷ অভিযোগে নাম উঠে আসে রবি, বাবাদিন এবং রামবচনের ৷ উল্লেখ করা হয়েছে, সকলেই একই গ্রামের বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, রবি গ্রামপ্রধানের ছেলে এবং বিজেপি বিধায়কের ভাইপো এবং প্রাক্তন মন্ত্রীর ভাগ্নেও বটে ৷ মেয়েটির পরিবার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মোহনগঞ্জ থানায় দ্বারস্থ হয় ৷ অভিযোগ উঠেছে, পুলিশ দিনের পর দিন এফআইআর নথিভুক্ত না-করেই তাদের ঘোরাতে থাকে ৷ এরপর নির্যাতিতার মা, ওয়ান-স্টপ সহায়তা সেন্টারে সাহায্যের জন্য আবেদন করেন। সূত্রের খবর, কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপের পর পুলিশ গতকাল, ১৪ জুন একটি মামলা দায়ের করে। পুলিশ জানিয়েছে, অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অন্যদিকে, মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ পরে তার জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য রায়বরেলি আদালতেও নিয়ে যাওয়া হয় কিন্তু শেষমেশ হয়ে ওঠেনি এমনটাই নাবালিকার মায়ের অভিযোগ ৷ নির্যাতিতা মা বলেন, “বেশ কয়েকজন পুলিশ আমাদের বাড়িতে আসে, বলে তারা নাকি তারা বাড়িতেই থাকবে। থাকার বন্দোবস্তও আমি করে দিই ৷ কিছুক্ষণ পর, পুলিশ গ্রামপ্রধানকে ফোন করে, তারপর উনি আমাদের ৮০,০০০ টাকা অফার করেন। সেইসঙ্গে পুলিশের ফোনে বলে রবির বাবা বলেন, টাকা নিয়ে নাও, আর বিষয়টি টানাহ্যাঁচড়া করবে না ৷” তিনি আরও অভিযোগ করেন, পুলিশ প্রভাবশালী কোনও ব্যক্তির সঙ্গে লড়াই করতে পারবে না বলেও আমাদের জানিয়েছে ৷ সেইসঙ্গে আমাদের খুন করে দেওয়াও হতে পারে পুলিশ জানায় ৷ কিন্তু, আমি মেয়ের ন্যায়বিচার চাই ৷