
৯ উইকেটে জয়ী মুম্বই ইন্ডিয়ান্স
চেন্নাই সুপার কিংস: ১৭৬/৫ (জাদেজা ৫৩, শিবম ৫০, বুমরাহ ২৫/২)
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: ১৭৭/১ (রোহিত ৭৬, সূর্য ৬৮, জাদেজা ৩৮/১)
৯ উইকেটে জয়ী মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।
চেন্নাইকে ৯ উইকেটে হারাল মুম্বই। যোগ্য সঙ্গ দিলেন সূর্যকুমার যাদব। জয়ের হ্যাটট্রিকে যখন হার্দিক পাণ্ডিয়ারা প্লে অফের দিকে এক পা এক পা করে এগোচ্ছেন, তখন আরও আঁধারে ধোনির চেন্নাই। এদিন টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মুম্বই অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ডিয়া। প্রায় প্রতি ম্যাচের মতো এবারও চেন্নাই ব্যাটিংয়ের শুরুটা ভালো হল না। রাচীন রবীন্দ্র ফিরলেন মাত্র ৫ রানে। সাইক রশিদের সংগ্রহ ১৯। বরং ১৭ বছরের আয়ুষ মাত্রে এদিন অভিষেকেই জাত চেনালেন। রাজস্থানের যদি ১৪ বছরের বৈভব থাকে, তবে রুতুরাজের বদলি হিসেবে আসা আয়ুষও বড় মঞ্চে নিজের উপস্থিতি জানিয়ে গেলেন। ১৫ বলে ৩২ রান করেন তিনি। সেখান থেকে চেন্নাই ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যান রবীন্দ্র জাদেজা ও শিবম দুবে। দুজনেই হাফসেঞ্চুরি করলেন, তবে রান বিদ্যুৎগতিতে এগোল না। ধোনি করলেন ৬ বলে মাত্র ৪ রান। বুমরাহ-স্যান্টনারের দাপটে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রানে থামে চেন্নাইয়ের ইনিংস। আর তারপর শুরু হল হিটম্যানের বিস্ফোরণ। রায়ান রিকেলটন শুরুর মঞ্চটা করে দিয়েছিলেন। রোহিত এদিন সেই সুযোগটা ছাড়লেন না। আর যেদিন তিনি ছন্দে থাকেন, সেদিন বিপক্ষ বোলারদের কী অবস্থা হয়, সেটা আর নতুন করে বলার নেই। এদিন শুরুটা করেছিলেন একটু ঢিমেতালেই। তারপর সূর্যকে পাশে পেয়ে আগুন ঝরাতে শুরু করেন রোহিত। রবীন্দ্র জাদেজাকে আক্রমণ করে ম্যাচের ‘মুড’ ঠিক করে নিলেন সূর্য। তুলনায় কিছুটা সামাল দিলেন অশ্বিন। যদিও রোহিত-সূর্যকে থামানোর জন্য সেটা যথেষ্ট ছিল না। ৪৫ বলে ৭৬ রান করেন রোহিত। ৪টে চারের পাশাপাশি ছিল ৬টি ছক্কা। অন্যদিকে ৩০ বলে ৬৮ রান করেন সূর্য। মুম্বই ম্যাচ জিতল ৯ উইকেটে। টসের সময় ওয়াংখেড়েতে শোনা যাচ্ছিল ধোনির নামে স্লোগান। সেটা শেষ হল রোহিতের নামে জয়ধ্বনিতে। ৮ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলে তারা উঠে এল ছয় নম্বরে। এর আগেও বিধ্বস্ত পরিস্থিতি থেকে কামব্যাক করেছে মুম্বই। এবারও কি সেটাই দেখা যাবে? অন্যদিকে ৮ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানিতে চেন্নাই। প্লে অফের আশা যে ক্রমশ কমে আসছে, সেটা ধোনিও একপ্রকার মেনেই নিলেন।