রাজ্যের মন্ত্রী রথীন ঘোষের বাড়িতে ইডি-র তল্লাশি

প্রায় ১১ ঘণ্টা অতিক্রান্ত হতে চলল, এখনও রাজ্যের মন্ত্রী রথীন ঘোষের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছেন ইডি আধিকারিকেরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বেআইনি ভাবে পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার তদন্তেই এই হানা। বিকেলে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে এক ইডি আধিকারিক জানান, মন্ত্রী তদন্তে সহযোগিতা করছেন। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা নাগাদ খাদ্যমন্ত্রী রথীনের মাইকেলনগরের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। পাঁচটি গাড়িতে রথীনের বাড়িতে পৌঁছন ইডি আধিকারিকেরা। এর পর বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ কয়েক জন ইডি আধিকারিককে মন্ত্রীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। সেখানে তাঁদের প্রশ্ন করা হয়, মন্ত্রী তদন্তে সহযোগিতা করছেন কি না। তার জবাবে এক ইডি আধিকারিককে ঘাড় নেড়ে বলতে শোনা যায়, ‘‘হ্যাঁ হ্যাঁ, মন্ত্রী সহযোগিতা করছেন তদন্তে।’’দীর্ঘ দিন ধরে মধ্যমগ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন রথীন। ইডি সূত্রে খবর, পুর নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ধৃত অয়ন শীলের সংস্থা এবিএস ইনফোজ়োনের অফিস থেকে বাজেয়াপ্ত করা বিভিন্ন নথিতে রথীনের নাম বার বার উঠে এসেছে। ইডির দাবি, ২০১৪-র পর থেকে পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে। তার ভিত্তিতেই এই অভিযান। টাকা কাদের কাছে পৌঁছেছে, কীভাবে পৌঁছেছে, সেই খতিয়ে দেখাই কেন্দ্রীয় সংস্থার উদ্দেশ্য। যদিও ইডির হানা প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার সকালেই রথীন বলেছিলেন, ‘‘এর আগেও তো বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়েছে ইডি। কিন্তু কিছুই তো পাওয়া যায়নি।’’রথীনের বাড়ি ছাড়াও বৃহস্পতিবার মধ্যমগ্রাম পুরসভার দফতরে হানা দেন ইডির আধিকারিকেরা। এ ছাড়াও ১০ থেকে ১২টি দলে ভাগ হয়ে বরাহনগর, সল্টলেক-সহ মোট ১২টি জায়গায় তাদের তল্লাশি অভিযান চলেছে। কামারহাটি পুরসভার তৃণমূলের পুর চেয়ারম্যান গোপাল সাহার অমৃতনগরের বাড়িতেও তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। পাশাপাশি বরাহনগর পুরসভার চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিকের বাড়িতেও পৌঁছে গিয়েছে ইডির একটি দল। টিটাগড়ের প্রাক্তন পুর চেয়ারম্যান প্রশান্ত চৌধুরীর বাড়িতে হানা দিয়েছে ইডি।

error: Content is protected !!