
ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় সোনিয়া-রাহুলের বিরুদ্ধে চার্জশিট ইডি-র
সোনিয়া গান্ধি ও রাহুল গান্ধি সহ অন্য কয়েকজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) ৷ ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় তাঁদের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ তুলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ৷ এদিকে অন্য একটি মামলায় ইডি’র কার্যালয়ে হাজিরা দেন কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধির স্বামী রবার্ট বঢরা ৷ এর আগে গত ১২ এপ্রিল, শনিবার কংগ্রেসের ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকা ও অ্যাসোসিয়েটেড জার্নাল লিমিটেড-এর (এজিএল) ৬৬১ কোটি টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নোটিশ দিয়েছিল ইডি ৷ গত ৯ এপ্রিল এই মামলার চার্জশিট জমা দিয়েছিল ইডি ৷ মঙ্গলবার সেই চার্জশিট খতিয়ে দেখেন বিশেষ আদালতের বিচারক বিশাল গোগনে ৷ আগামী ২৫ এপ্রিল পরবর্তী শুনানি ৷ এই চার্জশিটে কংগ্রেস নেতা শ্যাম পিত্রোদা এবং সুমন দুবের নামও উল্লেখ করা হয়েছে ৷ আর্থিক জালিয়াতি সংক্রান্ত পিএমএলএ আইনের ৩ ও ৪ নম্বর ধারার আওতায় আর্থিক নয়ছয় ও তার জন্য শাস্তির আবেদন জানিয়েছেন ইডির বিশেষ সরকারি কৌঁসুলী এনকে মাত্তা ৷ এদিন বিচারক বলেন, “অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখে নথিভুক্ত করা হোক ৷” পরবর্তী শুনানির মধ্যে বিচারক ইডিকে অভিযোগের সফ্ট কপি ও তথ্যগুলির ওসিআর ফরম্যাট আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ৷ চার্জশিট পেশ করার পর কংগ্রেসের মিডিয়ার সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ সোশাল মিডিয়ায় লেখেন, “ন্যাশনাল হেরাল্ডের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করাটা আইনের আড়ালে সরকার প্রযোজিত অপরাধ ৷ শ্রীমতি সোনিয়া গান্ধি, রাহুল গান্ধি এবং অন্যদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করাটা প্রতিশোধের রাজনীতি ছাড়া আর কিছুই নয় ৷ প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভয় দেখানোর চেষ্টা করছেন ৷ জাতীয় কংগ্রেসও চুপচাপ বসে থাকবে না ৷ সত্যমেব জয়তে ৷” ইয়ং ইন্ডিয়ার সবচেয়ে বেশি শেয়ার রয়েছে কংগ্রেসের সংসদীয় কমিটির চেয়ারপার্সন তথা রাজ্য়সভার সাংসদ সোনিয়া গান্ধি ও রাহুল গান্ধির কাছে ৷ তাঁরা প্রত্যেকে 38 শতাংশ শেয়ারের মালিক ৷ কয়েক বছর আগে এই মামলায় তাঁদের দু’জনকে দীর্ঘ সময় ধরে জেরা করেছিল ইডি ৷ এরপর ইডি দাবি করে, বেসরকার সংস্থা ইয়ং ইন্ডিয়ার কর্ণধার সোনিয়া ও রাহুল গান্ধি, অ্যাসোসিয়েটেড জার্নাল লিমিটেড-এর (এজিএল) ২ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি মাত্র ৫০ লক্ষ টাকায় কিনেছিলেন ৷