এনসিসি-র ধাঁচে স্কুলে স্কুলে জয় হিন্দ বাহিনী, হবে বেঙ্গল প্ল্যানিং কমিশন, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

এবার কলেজে পড়ুয়াদের এনসিসি বাহিনীর ধাঁচে স্কুলে স্কুলে জয়হিন্দ বাহিনী গড়ার ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ কলকাতা রেড রোডে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল রাজ্য সরকার। সেই অনুষ্ঠানের শুভ সূচনায় শাঁখ বাজিয়ে ও সাইরেনের মাধ্যমে নেতাজির প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইন্দ্রনীল সেনের গানের মধ্যে দিয়ে নেতাজির জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত রাজ্যের নেতা-মন্ত্রীরা। শঙ্খধ্বনি, সাইরেন বাজিয়ে এদিন অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত রয়েছেন সেখানে। নেতাজিকে স্মরণ করে গান গাইতে দেখা যায় সুগত বসুকে। তারপরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘এনসিসি-র আদলে স্কুলে কলেজে জয় হিন্দ বাহিনী গড়ে তোলা হবে। নেতাজির নামে রাজ্যে আরও একটি বিশ্ববিদ্যালয় হবে।’ এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর আদর্শকে স্মরণ করে আমরা আজাদ হিন্দ মনুমেন্ট তৈরি করছি। নেতাজির নামে উৎসর্গ করে জয় হিন্দ বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হচ্ছে বাংলায়। জাতীয় প্ল্যানিং কমিশনের আদলে তৈরি হচ্ছে বেঙ্গল প্ল্যানিং কমিশন। এই প্ল্যানিং কমিশন ছিল নেতাজির মস্তিষ্ক সূচিত। এই কমিশন তুলে দেওয়া লজ্জাজনক। এনসিসি-র কায়দায় স্কুলে স্কুলে জয় হিন্দ বাহিনী আমরা গড়ে তুলব। স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষ উপলক্ষে আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলার অবদান সম্পর্কিত তথ্য তুলে ধরা হবে প্রদর্শনীর মাধ্যমে।’ তিনি এদিন বলেন, ‘ইচ্ছা ছিল আজ পদযাত্রা করব। কিন্তু, কোভিড পরিস্থিতিতে তো তা সম্ভব হল না।’মুখ্যমন্ত্রী আক্ষেপ প্রকাশ করেন করোনার কারণে পদযাত্রা বাতিল হওয়ায়। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘স্বাধীনতা আন্দোলনে সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। স্বাধীনতা সংগ্রামের সমস্ত তথ্য ডিজিটালাইজ করা হবে। ২৩ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ও ১৫ অগস্ট থেকে ২২ অগাস্ট পর্যন্ত স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মূর্তিতে মাল্যদান ও আলোকসজ্জায় সজ্জিত থাকবে বাংলা জুড়ে। ঋষি অরবিন্দের ১৫০ তম জন্মবার্ষিকী পালন করা হবে সেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কেউ কেউ ধর্মের নামে বিভাজন করছে, জোর করে সমস্ত তথ্য ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে, কিন্তু আমি সেটা ভুলতে পারি না। পাঠ্যবইতে বেশি করে পরানো উচিত ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস।’ এছাড়াও রাজারহাটে নেতাজির মূর্তি বসানো হবে এই কথাও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

error: Content is protected !!