পহেলগাম হামলার পিছনে গুজরাতের মুন্দ্রা বন্দরে ২১০০০ কোটির হেরোইন! দাবি NIA-র 

পহেলগাম জঙ্গি হামলার সঙ্গে যোগ রয়েছে সুদূর গুজরাটের? ষড়যন্ত্রের শিকড় অনেক গভীরে, বহুদূর ছড়ানো রয়েছে এর জাল। সুপ্রিম কোর্টে এমনই দাবি করেছে NIA (জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা)। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি এন কোটিশ্বর সিংয়ের ডিভিশন বেঞ্চে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বর্য ভাটি বুধবার এই সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেশ করেছেন। তিনি জানান, পহেলগামে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার সঙ্গে নিবিড় যোগ রয়েছে হেরোইনের। আইনজীবীর জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সম্প্রতি গুজরাটের মুন্দ্রা বন্দরে ২১ হাজার কোটি টাকার হেরোইন বাজেয়াপ্ত করেন কাস্টমস ও জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। ওই হেরোইন পাঠানো হয়েছিল আফগানিস্তান থেকে। পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৯৮৮.২ কেজি। আন্তর্জাতিক বাজারে ওই পরিমাণ হেরোইনের দাম ২১ হাজার কোটি টাকা। আইনজীবী সু্প্রিম কোর্টে জানান, হেরোইন পাঠানো হয়েছিল ট্যালকম পাওডারের আড়ালে। এর আগেও একই কায়দায় একাধিক বার হেরোইন পাঠানো হয়েছিল আফগানিস্তান থেকে। সম্প্রতি যে হেরোইন বাজেয়াপ্ত হয়েছে, তা রাখা আছে দিল্লির নেব সরাই এবং আলিপুরের গোডাউনে। আইনজীবী আদালতে জানান, NIA-র অফিসাররা তদন্তে জেনেছেন, হেরোইন বিক্রি করে যে টাকা ওঠে তা লস্কর-ই-তৈবার তহবিলে পাঠানো হয়। এই মাদর পাচারে সক্রিয় ভাবে জড়িত রয়েছে কবীর তলওয়ার নামে একজন। ভারতের যুব সম্প্রদায়কে মাদকাসক্ত করে ও তাদের মগজ ধোলাই করে সন্ত্রাসবাদী কাজে লাগানোর বড় ষড়যন্ত্র রয়েছে লস্কর-ই-তৈবার। সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে NIA জানিয়েছে, আফগানিস্তান থেকে প্রায় ৩ হাজার কেজি হেরোইন পাঠানো হয়েছে পাকিস্তানের আইএসআই এবং ইরানের এক মিডলম্যানের মাধ্যমে। ওই পরিমাণ হেরোইন গুজরাটের বন্দরে পৌঁছয় ইরান থেকে। হেরোইন বিক্রি করে পাওয়া টাকা সন্ত্রাসবাদী কাজে ব্যবহার করার পরিকল্পনা ছিল।

error: Content is protected !!