রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত চরমে! কমিশনারহীন রাজ্য নির্বাচন কমিশন

রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের মেয়াদ শেষ হলেও এখনও পর্যন্ত কে হবেন পরবর্তী কমিশনার? এই প্রশ্ন নিয়ে শুরু হয়েছে জোর তরজা। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কথায়, ‘‘সরকার নিয়ম মানে নি। রাজ্যপালের কথা মতো প্রয়োজনীয় নামের যথাযথ তথ্য সরবরাহ করেনি নবান্ন।’’ আর বঙ্গ বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বললেন, ‘‘শাসকদল আতঙ্কে ভুগছে। তাই এক্ষুনি যাতে পঞ্চায়েত ভোট না করা হয় সেই কারণে অযথা দেরি করে নতুন চিত্রনাট্য তৈরি করেছে।’’ সব মিলিয়ে বিশ বাঁও জলে পঞ্চায়েত ভোট! ভোট পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কমিশনারই নেই। পঞ্চায়েত ভোট করাবেন কে? রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে গত রবিবার মেয়াদ শেষ হয়েছে সৌরভ দাসের। তারপর থেকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের চেয়ার খালি। পরবর্তী কমিশনারের নাম নিয়ে রাজভবন এবং নবান্নের মধ্যে জোর টানাপোড়েন। তাহলে পঞ্চায়েত ভোটটা করাবেন কে? এই প্রশ্ন উঠছে। বিরোধীদের কেউ কেউ বলছিলেন, তৃণমূলের নবজোয়ার যাত্রার জন্য পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণায় দেরি হচ্ছে। কিন্তু, সমস্যা দেখা যাচ্ছে অন্য জায়গায়। ২৮ মে, রবিবার অবসর নেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস। তারপর দু’দিন কেটে গেলেও নতুন কমিশনারের নাম চূড়ান্ত হয়নি। নবান্নের প্রস্তাবে সায় দেয়নি রাজভবন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘আগে থেকেই পারসু করেছি। নাম পাঠিয়েছি। পছন্দ না হলে ফাইল ফেরত পাঠিয়ে দিন। কমিশনে লোক নেই। সামনে ভোট। এই প্রথমবার এমন সমস্যা হল।’’ এ ব্যাপারে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে সাংবাদিকরা জিজ্ঞেস করলে তিনি শুধু বলেন,’ সঠিক সময়েই সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে’। নতুন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে প্রথমে প্রাক্তন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহার নাম পাঠায় নবান্ন। এই নামে সিলমোহর না দিয়ে দ্বিতীয় নাম চেয়ে পাঠান রাজ্যপাল। এরপর নবান্নের তরফে অজিত রঞ্জন বর্ধনের নাম পাঠানো হয়। তিনি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব।এই নামেও সায় দেয়নি রাজভবন বলে সূত্রের খবর। নবান্নের কাছে তৃতীয় নাম চাওয়া হয়েছে বলে খবর।

error: Content is protected !!