মণিপুরে দোকানের মধ্যেই মহিলাকে যৌন নিগ্রহ বিএসএফ জওয়ানের

রক্ষকই যখন ভক্ষক। জাতি হিংসায় জর্জরিত মণিপুরে এবার এক বিএসএফ জওয়ানের হাতেই যৌন হেনস্তার শিকার এক যুবতী। এক দোকানের মধ্যে ঢুকেই প্রকাশ্যে ওই যুবতীকে যৌন হেনস্তা করেছেন বিএসএফের এক হেড কনস্টেবল। ওই যৌন হেনস্তার দৃ্শ্য বন্দি হয়েছে দোকানে থাকা সিসি ক্যামেরায়। মঙ্গলবার ওই ভিডিয়ো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। অস্বস্তিতে পড়ে তড়িঘড়ি অভিযুক্ত হেড কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করেছেন বিএসএফ কর্তারা। গত বুধবারই মণিপুরে জাতি হিংসার মধ্যে দুই কুকি যুবতীকে নগ্ন করে ঘোরানোর ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। আর তা নিয়েই দেশজুড়ে নিন্দা আর সমালোচনার ঝড় উঠেছে। চাপে পড়ে মুখ বাঁচাতে ঘটনার নিন্দা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যাতে দেশের সাধারণ মানুষ ওই ন্যক্কারজনক ঘটনার ভিডিয়ো না দেখতে পারেন তার জন্য কোমর কষে আসরে নেমেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। টুইটার-সহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলিকে ‘আত্মনির্ভর ভারতে’ মহিলাদের সুরক্ষার চিত্র বেআব্রু করা ভিডিয়ো সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মণিপুরে বিবস্ত্র কাণ্ড নিয়ে দেশ যখন উত্তাল, তখনই নয়া এক ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে এক মুদি দোকানে ঢুকে এক যুবতীকে যৌন নিগ্রহ করছেন এক বিএসএফ জওয়ান। চুলের মুঠি ধরে টেনে বের করে নিয়ে যাচ্ছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২০ জুলাই। রাজধানী ইম্ফলের পেট্রল পাম্পের কাছেই ওই দোকানটি অবস্থিত। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পরেই অভিযুক্ত বিএসএফের হেড কনস্টেবল সতীশ প্রসাদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বিএসএফের এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।

error: Content is protected !!