
বন্দে-ভারতের উদ্বোধনে এবং পুরীর জগন্নাথ মন্দিরেও গিয়েছিল ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রা
পাকিস্তানি গুপ্তচর সন্দেহে প্রখ্য়াত ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রাকে গ্রেফতার করেছে হরিয়ানা পুলিশ ৷ শুরু হয়েছে তদন্ত ৷ জ্যোতির গতিবিধি, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট প্রতিটি বিষয় খতিয়ে দেখছে পুলিশ ৷ এই আবহে সামনে এল নতুন তথ্য ৷ ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে হায়দরাবাদে এসেছিল সে ৷ তখন হায়দরাবাদ-বেঙ্গালুরু বন্দে ভারত ট্রেনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানেও যোগ দেয় সে ৷ সেই বছর ভার্চুয়ালি বিশেষ ট্রেনটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তেলেঙ্গানার তৎকালীন গভর্নর তামিলিসাই সৌন্দরারজন ৷ তাঁর সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিষাণ রেড্ডি এবং বন্দি সঞ্জয় ৷ সেকেন্দ্রাবাদ স্টেশনের সেই অনুষ্ঠানের সম্পূর্ণ ভিডিয়ো বানায় জ্যোতি ৷ একজন ইউটিউবার হিসেবে ভ্লগ করে বেশ চর্চাতেও চলে আসে সে ৷ গ্রেফতারের পর তার হায়দরাবাদ সফর নিয়ে উঠছে প্রশ্ন ৷ সেই সময় নিজামের শহরে এসে কাদের সঙ্গে দেখা করেছে সে ? সফরে কী কোনও সংবেদনশীল ভিডিও তুলেছিল সে ? আপাতত এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে তদন্ত শুরু করেছেন গোয়েন্দা আধিকারিকরা ৷ অন্যদিকে, জ্যোতির সঙ্গে যোগাযোগ থাকার অভিযোগে স্থানীয় এক ইউটিউব ভ্লগারকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুরীর পুলিশ ৷ ২০২৪ সালে পুরী গিয়েছিল জ্যোতি ৷ দর্শন করেছিল জগন্নাথ ধামও ৷ সেই সময় তার একাধিক ভ্লগে প্রিয়াঙ্কা সেনাপতি নামে ওই মহিলা ইউটিউবার-কে দেখা গিয়েছে বলে দাবি তদন্তকারী আধিকারিকদের ৷ তদন্তে জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে পুরী ঘুরতে যায় জ্যোতি ৷ জগন্নাথ ধাম-সহ পুরীর একাধিক দর্শনীয় স্থান পরিদর্শনে যায় সে ৷ তোলে বেশকিছু ভিডিয়ো ও ছবি ৷ ইউটিউবে তার অ্যাকাউন্ট হাতরে সেই সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা ৷ এই সমস্ত ভিডিও ও ফটোর মাধ্যমে জ্যোতি কোনও সংবেদনশীল তথ্য পাচার করেছে কি না, তা খতিয়ে দেখছেন তারা ৷ তবে, জ্যোতির সঙ্গে তার গভীর কোনও সম্পদর্ক নেই বলে জানিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা সেনাপতি ৷ সোশাল মিডিয়ার একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, “ইউটিউবের মাধ্যমে জ্যোতির সঙ্গে আমার আলাপ ৷ তার বিরুদ্ধে যেসমস্ত অভিযোগ উঠেছে, সেই বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই ৷ তার পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগের ব্যাপারে কিছু জানলে, আমি কোনও দিনও তার সঙ্গে কোনও বন্ধুত্ব করতাম না ৷”