
‘রাজসাক্ষী’ হয়ে গোপন জবানবন্দি, কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির হিসাব দিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই
রাজ্যে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ‘রাজসাক্ষী’ হয়ে সিবিআইয়ের কাছে গোপন জবানবন্দি দিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য ৷ কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির হিসাব দিলেন তিনি ৷ এমনটাই দাবি, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের ৷ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সম্প্রতি ‘রাজসাক্ষী’ হতে চেয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই । বাস্তবেও হল তাই । কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সূত্রে খবর, ‘রাজসাক্ষী’ হিসেবে ইতিমধ্যেই কল্যাণময় ভট্টাচার্যের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে । গত শনিবারই একজন ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে কল্যাণময় ভট্টাচার্যের বয়ান রেকর্ড করেছে সিবিআই ৷ তিনি গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন । পাশাপাশি এই সময় তিনি নাকি কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির হিসাবও দিয়েছেন বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানা গিয়েছে ৷সিবিআই সূত্রে খবর, এর আগে কল্যাণময় ভট্টাচার্য নিজেকে ‘রাজসাক্ষী’ হওয়ার জন্য সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে আবেদন করেছিলেন। তারপরেই তাঁর গোপন জবানবন্দি নেওয়া হল ৷ মূলত আমেরিকার প্রবাসী বাঙালি কল্যাণময় বর্তমানে কলকাতায় থাকেন। তাঁর এই গোপন জবানবন্দির মাধ্যমে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে আসবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দাদের এবং তাতে তদন্তে অগ্রগতি হবে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কল্যাণময় ভট্টাচার্য এবং তাঁর অধীনে কয়েকটি সংস্থাকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দিয়েছিল ইডি ৷ শ্বশুর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশেই ‘বাবলি চ্যাটার্জি মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের’ অন্যতম সদস্য ছিলেন কল্যাণময় ৷ ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদে লিখিত বয়ানে এমনটাই তখন জানিয়েছিলেন তিনি নিজেই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের দাবি, পার্থর স্ত্রী বাবলি পরলোকে গমনের পর তাঁদের আত্মীয় এবং কয়েকজন ঘনিষ্ঠকে নিয়ে একটি ট্রাস্ট গড়া হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট ওই ট্রাস্টের মাধ্যমে একাধিক জায়গায় জমি কেনা এবং একটি স্কুল তৈরি করা হয়েছিল । কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মতে, সেগুলি কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি ৷ আর এইগুলি প্রত্যেকটি প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার লভ্যাংশের টাকা ৷ অর্থাৎ ট্রাস্টের আড়ালে নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলে অনুমান ইডি-র ৷