হাওড়া-পুরী বন্দে ভারতে মৃত্যু ঢাকুরিয়ার প্রৌঢ়র, ‘চিকিৎসার ব্যবস্থাই করেনি রেল’! ক্ষোভ যাত্রীদের

মোদির বন্দে ভারতে অত্যাধুনিক সব পরিষেবা পাওয়ার কথা। সেই বন্দে ভারতের মতো প্রিমিয়াম ট্রেনেই এক যাত্রী ছটফট করতে করতে মারা গেলেন কার্যত বিনা চিকিৎসায় বলে অভিযোগ। বুধবার হাওড়া-পুরী বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে মৃত্যু হল কলকাতার ঢাকুরিয়ার বাসিন্দা বছর সাতান্নর হিমাদ্রী ভৌমিকের। ইস্ট কোষ্ট রেল জানিয়েছে, রেল তাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করেছে যাত্রীকে বাঁচানোর জন্য। সহযাত্রীদের অভিযোগ, চিকিৎসার জন্য রেলকর্মীদের ডেকেও কোনও সাড়া মেলেনি। রেলের তরফে বিশেষ কোনও সহযোগিতা করা হয়নি বলেই তাদের অভিযোগ। ছটফট করতে করতেই ওই যাত্রীর মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে, কটক ঢোকার আগে ট্রেনটি দাঁড়িয়ে থাকে বেশ কিছুক্ষণ। কটক ছাড়ার পর ট্রেনের সি-২ কামরার এক যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন। শারীরিক অস্বস্তিতে ছটফট করতে থাকেন। যাত্রীরা তা দেখে চিকিৎসকের জন্য টিকিট পরীক্ষকের কাছে জানান। টিটিই ভুবনেশ্বরে বিষয়টি জানানোর পর জানান, সেখানে চিকিৎসা হবে। যাত্রীদের অভিযোগ, রেলের তরফে সেই স্টেশনে কোনও সহযোগিতা করা হয়নি। যাত্রীরা এদিক সেদিক দৌড়েও কোনও রেলকর্মীর দেখা পায়নি বলে অভিযোগ। টিকিট পরীক্ষক ও আরপিএফ ট্রেন ছাড়ার জন্য যাত্রীদের ট্রেনে চড়তে বলেন। কিন্তু তারা নড়েন নি। ট্রেন প্রায় এজন্য পঁয়তাল্লিশ মিনিট সেখানে দাঁড়িয়ে থাকে। এরপর সেখানে ব্যাটারি গাড়ি নিয়ে হাজির হয় আরপিএফ। এরপর যখন তাকে সেটাতে তোলা হয় তখন তার মৃত্যু হয়েছে বলে অনুমান করেন যাত্রীরা। এরপরই যাত্রীরা ট্রেনের মধ্যেই বিক্ষোভ শুরু করেন। ইস্ট কোষ্ট রেলের সিপিআরও জানান, ট্রেনের মধ্য়েই অসুস্থ হয়ে পড়েন কলকাতার বাসিন্দা ওই যাত্রী। ট্রেনের কর্তব্যরত টিকিট পরীক্ষক পরের স্টেশন ভুবনেশ্বর ও খুরদা রোডে খবর দেন। খুরদা রোডে রেলের টিকিৎসক হাজির হন। কিন্তু তার আগে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ভুবনেশ্বরেই নামানো হয় ওই যাত্রীকে। হাসপাতালের নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে আপৎকালীন চিকিৎসা ব্যবস্থা কিছু থাকেনা বলে যাত্রীদের অভিযোগ। তাদের কথায়, নাম কে ওয়াস্তে একটি প্রাথমিক চিকিৎসা বক্স থাকে টিকিট পরীক্ষকদের আওতায়। যাতে প্যারাসিটামল জাতীয়, পেটের অসুখের কিছু ট্যাবলেট ও লাল ওযুধ ছাড়া বিশেষ কিছু থাকেনা। থাকেনা অক্সিজেনও বলে অভিযোগ। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের টিকিট পরীক্ষকদের কথায়, চিকিৎকের প্রয়োজন হলে তাদের পরবর্তী স্টেশনে ডাকা হয়। এজন্য ১০০ টাকা ফিসও দিতে হয় যাত্রীকে। যার রসিদ দেয় ওই স্টেশনের টিসি। রেলের এই স্বাস্থ্য পরিষেবায় চরম ক্ষোভ দেখিয়েছেন যাত্রীরা।

error: Content is protected !!