
নাথুলা পাস দিয়ে ভারত-চিন সীমান্ত পেরিয়ে প্রথম পর্যায়ের কৈলাস-মানসরোবর যাত্রা শুরু
পাঁচ বছর বন্ধ থাকার পর শুক্রবার নাথুলা সীমান্ত দিয়ে প্রথম পর্যায়ের কৈলাস মানসরোবর যাত্রা শুরু হল । এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিকিমের রাজ্যপাল ওম প্রকাশ মাথুর । অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বিদেশমন্ত্রক । সিকিম সরকারের তরফ থেকে পর্যটন ও অসামরিক বিমান পরিবহণ দফতরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব সিএস রাও তীর্থযাত্রীদের স্বাগত জানান । প্রথম পর্যায়ে 33 জন তীর্থযাত্রী এবং দুইজন লিয়াজো অফিসার রয়েছেন । ওই দুই প্রতিনিধি বিদেশমন্ত্রক এবং ইন্দো-তিব্বতীয় সীমান্ত পুলিশবাহিনীর প্রতিনিধি । সিএস রাও বলেন, “রাজ্য সরকার এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলির সহযোগিতায় তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তা এবং সুচারু যাত্রার জন্য সমস্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ।” সিকিমের রাজ্যপাল ওম প্রকাশ মাথুর বলেন, “ছয় বছর পর এই যাত্রা আবার শুরু হল । এটি ভারত সরকারের ধারাবাহিক প্রচেষ্টার ফল । কৈলাস মানসরোবর তীর্থযাত্রা দেশের প্রতিটি অঞ্চলের তীর্থযাত্রীদের কাছে ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । আগামী দিনে আরও অনেক তীর্থযাত্রী এই যাত্রা করবেন ।” পর্যটন ও অসামরিক বিমান পরিবহণ এবং বাণিজ্য ও শিল্প বিভাগের মন্ত্রী শেরিং থেন্দুপ ভুটিয়া বলেন, “ছয় বছর পর এই যাত্রার পুনরায় শুরু হওয়া সিকিমের পর্যটন শিল্পে নতুন প্রাণ সঞ্চার করেছে । নাথুলা রুটকে এই তীর্থযাত্রার জন্য নির্বাচন করা ভারতের সরকারকে ধন্যবাদ জানাই । এই উন্নয়ন পর্যটন ও তীর্থযাত্রা উভয় ক্ষেত্রেই সিকিমের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে ।” তীর্থযাত্রীদের জন্য প্রয়োজনীয় থাকা খাওয়া, মেডিক্যাল চেকআপের ব্যবস্থা করা হয়েছে কেন্দ্র ও সিকিম সরকারের তরফে । অনুষ্ঠানের পর তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তা ও পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার পর তীর্থযাত্রীরা নাথুলা পাসের মাধ্যমে ভারতের চিন সীমান্তের দিকে যাত্রা শুরু করেন । এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিকিম বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার শ্রীমতি রাজ কুমারী থাপা, কৃষিমন্ত্রী শ্রী পুরাণ কুমার গুরুং, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী নর বাহাদুর দহাল, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী শ্রীমতি পামিন লেপচা-সহ অন্যান্যরা ।