আমাদের সামর্থ্য নিয়ে যাঁরা প্রশ্ন তুলছিলেন, তাঁদের উচিৎ জবাব দিয়েছে এই মহাকুম্ভ: প্রধানমন্ত্রী

৪৫ দিন ধরে প্রয়াগরাজে চলা মহাকুম্ভ মেলার ডুব দিতে হাজির হয়েছিলেন দেশে থেকে বিদেশের প্রায় ৬৬ কোটি পুর্ণ্যার্থী। মহাকুম্ভের সাফল্যের জন্য গোটা দেশের নাগরিকদের ধন্যবাদ জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একইসঙ্গে বিরোধীদের নিশানা প্রধানমন্ত্রীর। তিনি বলেন, ‘আমাদের সামর্থ্য নিয়ে যাঁরা প্রশ্ন তুলছিলেন, তাঁদের উচিত জবাব দিয়েছে এই মহাকুম্ভ।’ স্বামী বিবেকানন্দের শিকাগোর বক্তৃতা থেকে মহাত্মা গান্ধীর ডান্ডি মার্চের সঙ্গে মহাকুম্ভ নিয়ে দেশবাসীর আবেগকে একই পংক্তিতে বসালেন নরেন্দ্র মোদী। যদিও প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য নিয়ে প্রতিবাদে সরব বিরোধীরা। বক্তব্যের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের কোটি কোটি মানুষকে আমি মহাকুম্ভের সাফল্যের জন্য নতমস্তকে প্রণাম জানাই। তাদের জন্যই সফল মহাকুম্ভ। এই মহাযজ্ঞের সফলতায় একাধিক মানুষের যোগ রয়েছে।’ দেশের সমস্ত পুর্ণ্যাথীর সঙ্গে প্রয়াগরাজের মানুষকেও বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মহাকুম্ভ নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনাকে এক হাত নিয়ে মোদীর দাবি, ‘গোটা বিশ্বের সামনে আমাদের ঐক্য ও রাষ্ট্রীয় চেতনার সুন্দর চিত্র তুলে ধরেছে এই মহাকুম্ভ। মহাকুম্ভের মহাপ্রসাদ হলো একতা।’ এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর মুখে শোনা যায়, রামমন্দির প্রতিষ্ঠা ও রামলালার অভিষেক অনুষ্ঠানের কথাও। মোদীর মতে, ভারতের আধ্যাত্মবাদের শক্তি টের পাওয়া গিয়েছিল তখনই। তিনি বলেন, ‘যে ভাবে স্বামী বিবেকানন্দের ভাষণ গোটা দেশের আত্মচেতনাকে জাগিয়ে তুলেছিল। মহাকুম্ভও সেই একইভাবে দেশের প্রতিটি রাজ্যের সমস্ত বয়সের মানুষকে কোনও ভেদাভেদ ছাড়াই এক সূত্রে বেঁধেছে। এমনকী নবপ্রজন্ম, যুবসমাজও মহাকুম্ভের আবেগে ভেসেছেন।’ শুধু স্বামীজির ভাষণই নয়, স্বাধীনতা সংগ্রাম, ১৮৫৭-এর সিপাহী বিদ্রোহ, মহাত্মা গান্ধীর ডান্ডি অভিযানের সময়ে গোটা দেশে যে একতা দেখা গিয়েছিল, মহাকুম্ভের জন্যে সেই একই ভাবাবেগ দেখা গিয়েছে বলে দাবি ।

error: Content is protected !!