শিশুমৃত্যু ঘিরে বিক্ষোভ, পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে আহত অন্ডাল থানার ওসি

অন্ডালের উখড়ায় চিকিৎসায় গাফিলতির জেরে শিশুমৃত্যুর অভিযোগ ৷ তারপরই পরিস্থিতি রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে ৷ আহত হন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী ৷ ঘটনার সূত্রপাত, পায়খানা-বমি করতে থাকা গোবিন্দ বাউরি নামের বছর ছয়ের ছেলে নিয়ে তার পরিবার চিকিৎসক রাজেশ মাঝির চেম্বারে যায় ৷ অভিযোগ, গোবিন্দকে 4টি ইনজেকশন দেওয়ার 10 মিনিটের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়। এরপরেই ওই ডাক্তারের চেম্বারে হুলস্থুল কাণ্ড ঘটে। ঘটনাস্থলে খবর পেয়ে তড়িঘড়ি আসে অন্ডাল থানার পুলিশ । উত্তেজিত জনতার ছোড়া ইটের আঘাতে অফিসার ইনচার্জ-সহ বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী আহত হন। কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে দাঁড়ায় উখড়া হাটতলা রোড। অভিযুক্ত, চিকিৎসককে উত্তেজিত জনতার রোষের হাত থেকে বাঁচাতে পুলিশ থানায় নিয়ে যায়। 6 বছরের মৃত গোবিন্দ জোয়াল ভাঙার বাসিন্দা ৷ উখরার মাধাইগঞ্জ রোডের পাশে চিকিৎসক রাজেশ মাঝির চেম্বার ৷ মৃতের পরিবারের সদস্যরা এবং উত্তেজিত স্থানীয় বাসিন্দারা ডাক্তারের চেম্বারে ভাঙচুর চালায়। বাধা দিতে গেলে অন্ডাল থানার পুলিশের উপর ইট-পাটকেল ছুড়লে তাতে স্থানীয় বাসিন্দারাও আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এসিপি’র নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে আসে। পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসায় গাফিলতির কারণে তাঁদের ছেলের মৃত্যু হয়েছে। 4টি ইঞ্জেকশন মাত্র 6 বছরের অসুস্থ শিশুকে কেন দেওয়া হল ? প্রশ্ন তুলেছেন মৃত নাবালকের আত্মীয়রা। মৃত গোবিন্দ বাউরির আত্মীয় কুমারডিহির বাসিন্দা রবিন বাউরির অভিযোগ, মাত্র 6 বছর বয়সি অসুস্থ গোবিন্দকে কী করে চিকিৎসক 4টি ইঞ্জেকশন দিল ? এত ইঞ্জেকশন নেওয়ার ক্ষমতা কি গোবিন্দর মধ্যে ছিল ? ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় গোবিন্দের মৃত্যু হল। পুলিশ ওই চিকিৎসককে নিয়ে চলে গেল। ডাক্তারের শাস্তির দাবি করেছেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা ৷ বর্তমানে পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য এলাকায় পুলিশ বাহিনী মোতায়েন রাখা হয়েছে। আহত পুলিশকর্মীদেরকে চিকিৎসার জন্য দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷

error: Content is protected !!