
বিহারের নাবালিকাকে ধর্ষণের পর বুকে ২২ বার ছুরির কোপ, বেড না পেয়ে ৪ ঘণ্টা ধরে হাসপাতালের সামনে পড়ে থেকে মৃত্যু!
নারকীয় ঘটনার সাক্ষী বিহারের মুজাফফরপুর ৷ যার জেরে উত্তপ্ত নীতিশ কুমারের রাজ্য ৷ বিহারের রাস্তায় রাস্তায় চলছে কংগ্রেসের বিক্ষোভ ৷ নাবালিকাকে ধর্ষণের পর নৃশংশভাবে খুনের পর শারীরিক চিকিৎসার জন্য বেড না-পেয়ে 4 ঘণ্টা ধরে হাসপাতালের সামনে পড়ে থাকতে রয়েছে নির্যাতিতাকে ৷ সোমবার এমনই অভিযোগ তুলে পথে নেমেছে নীতিশ বিরোধী কংগ্রেস ৷ মুজাফফরপুরের কুধনি থানা এলাকায় গত 26 মে মাছ বিক্রেতা এক নাবালিকাকে বাড়ি থেকে 1 কিলোমিটার দূরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে ৷ তারপর 7 বছরের মেয়েটির বুকে 22 বার ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে ৷ গলা, হাত, পেট-সহ শরীরের আরও অংশে ছুরি দিয়ে কোপায় 35 বছরের ওই অভিযুক্ত ৷ এরপর রাস্তায় নির্যাতিতাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় ৷ আশপাশের লোকজন মেয়েটিকে গুরুতর অবস্থায় মুজাফফরপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করে ৷ অবস্থা বেগতিক হওয়ায় নাবালিকাকে পিএমসিএইচে (পটনা মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালে) রেফার করা হয় ৷ সেখানেই রবিবার সকালে মেয়েটির চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যু হয়। অভিযুক্ত মাছ ব্যবসায়ীকে পরবর্তীতে মুজাফফরপুর পুলিশ গ্রেফতার করে ৷ বছর সাতের নাবালিকার ধর্ষণ ও খুনের পর বিরোধীরা চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ তোলে ৷ কংগ্রেসের অভিযোগ, মেয়েটির মৃত্যু হয়েছে চিকিৎসার অভাবে। নির্যাতিতাকে যখন মুজাফফরপুর থেকে পটনায় রেফার করা হয়, তখন বেড না-পেয়ে 4 ঘণ্টা অ্যাম্বুলেন্সেই পড়েছিল। তাই তার চিকিৎসার অভাবে মৃত্যু হয়েছে। গতকাল থেকেই বিরোধীরা এই নারকীয় ঘটনা এবং সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে রাস্তায় নেমে আসে। নারী নিরাপত্তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তোলেন। কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি রাজেশ রাম বলেন, “এই ঘটনায় আমরা দুঃখিত। দলিত পরিবারের ওই মেয়েকে প্রথমে ধর্ষণ করা হয়, তারপর বুকে 20 থেকে 22 বার ছুরিকাঘাত করা হয় ৷ অভিযুক্ত এখানেই থেমে থাকেনি, পরে মেয়টির গলাও কেটে ফেলে ৷ এত বড় ঘটনার পর মুজাফফরপুর প্রশাসন বিষয়টি চেপে রাখে, কারণ প্রধানমন্ত্রী মোদির বিহার সফর (দু’দিনের) ছিল ৷ নাবালিকাকে মুজাফফরপুর থেকে যখন পটনায় আনা হয়, তখন সরকারি ওই হাসপাতাল তার যথাযথ চিকিৎসা দিতে পারেনি। এর ফলেই তার মৃত্যু হয়েছে। এটি অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা।”