পঞ্জাবকে উড়িয়ে চতুর্থবার ফাইনালে আরসিবি

পঞ্জাব কিংস: ১০১/১০ (স্টয়নিস ২৬, হ্যাজেলউড ২১/৩, সুয়াশ শর্মা ১৭/৩),
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু: ১০৬/২ (সল্ট অপরাজিত ৫৬, মায়াঙ্ক ১৯ ),
আরসিবি ৮ উইকেটে জয়ী।

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ঝটকা খায় পঞ্জাব। যশ দয়ালের বলে মাত্র ৭ রানে ফেরেন প্রিয়াংশ আর্য। এরপর একে একে ফেরেন প্রভসিমরন সিং (১৮) এবং শ্রেয়স আইয়ার (২)। তাঁদের ফেরান ভুবনেশ্বর কুমার এবং জশ হ্যাজেলউড। আরসিবি দলে হ্যাজেলউড ফেরায় তাদের বোলিং বিভাগকে বাড়তি আত্মবিশ্বাসী মনে হয়েছে। নিজের প্রথম দু-ওভারেই তিনি উইকেট পান। উইকেটকিপার জশ ইংলিশও তাঁর বলে ফেরেন। একটা সময় বেঙ্গালুরুর গতি তারকাদের দাপটে পাঞ্জাব মাত্র ৫০ রানে ৫ উইকেট খুইয়ে ফেলে। এমন ভঙ্গুর অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন। যদিও লড়াই করেন মার্কাস স্টয়নিস (১৭ বলে ২৬)। তবে শেষপর্যন্ত সুয়াশ শর্মার গুগলিতে ঠকে যেতে হয় তাঁকে। শেষের দিকে আজমতুল্লাহ ওমরজাই (অপরাজিত ১৮)  না খেললে পাঞ্জাবের রান ১০০ পার হত না। বেঙ্গালুরুর হ্যাজেলউড এবং সুয়াশের শিকার ৩ উইকেট। মাত্র ১০১ রানের টার্গেট বিরাটদের সামনে আদৌ বড় কিছু ছিল না, সেটা বুঝতে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ হওয়ার দরকার পড়ে না। সে যতই ক্রিকেট ‘গ্লোরিয়াস গেম অফ আনসার্টেনটি’ হোক না কেন। বিরাট কোহলি প্রথম যে বলটা ব্যাটে খেললেন সেটাই বাউন্ডারিতে আছড়ে পড়েছিল। মনে হয়েছিল পাঞ্জাব বোলিংকে চিবিয়ে খাবেন ‘কিং’। কিন্তু সেই চিরাচরিত ‘অফস্টাম্পের অনিশ্চিত করিডরে’ ধরা দেওয়ার অসুখ অব্যাহত রেখে তিনি ফিরলেন ১২ রানে। ডাগআউটে মাথা গরম করতেও দেখা গেল তাঁকে। অকারণে রাগ না করে কোহলিকে বুঝতে হবে ফাইনাল জিতে ইতিহাস গড়তে হলে আরেকটু ধৈর্যশীল হতেই হবে তাঁকে। মায়াঙ্ক দলের ৩০ রানের মাথায় আউট হয়েছিলেন আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে। কিন্তু রিভিউ নেওয়ার পর তিনি বেঁচে যান। নিঃসন্দেহে, সেই সময় তিনি আউট হলে প্রেশার কুকারের মধ্যে হয়তো ঢুকে পড়ত আরসিবি।কিন্তু সল্ট যা ফর্মে ব্যাট করলেন, তাতে ম্যাচের ফল বদলাতে পারত, এমন কথা পাঞ্জাবের সমর্থকরাও হয়তো বলবেন না। বিরাটের ব্যর্থতার দিনে সমস্ত দায়িত্ব যেন একাই নিয়ে নিলেন ফিল সল্ট। ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে একাই পাঞ্জাবের বোলিংকে নিয়ে ছেলেখেলা শুরু করলেন তিনি। এরপর বাকি ম্যাচ ছিল কার্যতই নিয়মরক্ষার। মায়াঙ্ক যখন ফিরলেন তখন জয় আর ১৮ রান দূরে। শেষপর্যন্ত সল্ট অপরাজিত রইলেন ২৭ বলে ৫৬ রানে। মারলেন ৬টা চার, ৩টি ছক্কা। টার্গেটের অর্ধেকের বেশি একাই করে দলকে অনায়াস জয় এনে দিলেন তিনি।

error: Content is protected !!