অযোগ্য শিক্ষকদের আবেদন শুনল না সুপ্রিমকোর্ট

সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে খালি হাতেই ফিরতে হল চাকরিহারা অযোগ্য শিক্ষকদের একটি অংশকে ৷ ওএমআর শিট বা উত্তরপত্রে কারচুপির অভিযোগে চাকরি খোয়ানো এই শিক্ষকরা বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন ৷ আদালতের কাছে তাঁদের আবেদন ছিল, যোগ্য শিক্ষকদের মতো তাঁদেরও ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চাকরিতে বহাল রাখা হোক এবং নতুন নিয়োগের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেওয়া হোক ৷ এদিন বিচারপতি সঞ্জয় কুমার ও বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ তাঁদের আবেদন খারিজ করে দেয় ৷ সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চের নির্দেশে কোনও হস্তক্ষেপ করা হবে না, পরিষ্কার জানিয় দিয়েছে দুই বিচারপতির বেঞ্চ ৷ এর আগে ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার রায় ঘোষণার দু’দিন- ৩ এপ্রিল ও ১৭ এপ্রিল, তৎকালীন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের অন্যতম সদস্য ছিলেন বিচারপতি সঞ্জয় কুমার ৷ এদিন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, “সিবিআই তদন্ত করে জানিয়েছিল মোট ৪ হাজার ৯১ জন ওএমআর শিটে কারচুপি করে চাকরি পেয়েছেন ৷ সুপ্রিম কোর্ট তাঁদের চাকরি বাতিল করে ৷ এদিন মোট ১১৯ জন শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ৷ তাঁদের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত ৷” এর আগে গত ২১ মে চাকরিহারা অযোগ্য শিক্ষকদের আরেকটি অংশ একই আবেদন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের শরণাপন্ন হয় ৷ তাঁরা র‍্যাঙ্ক জাম্প করে চাকরি পাওয়া অযোগ্য শিক্ষক ৷ তাদেরও খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল ৷ যোগ্য শিক্ষকদের মতো তাঁদের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চাকরিতে বহাল রাখা এবং এসএসসি’র নতুন পরীক্ষায় অংশ নিতে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রায় 87 জন চাকরিহারা অযোগ্য শিক্ষক ৷ এই চাকরিহারা শিক্ষকরা মেধাতালিকায় পিছিয়ে থেকেও যোগ্য শিক্ষকদের টপকে চাকরি পেয়েছিলেন ৷

error: Content is protected !!