
চাকরি বাতিলের নির্দেশ মানছে না, রাজ্য সরকারকে আদালত অবমাননার নোটিশ পাঠল চাকরিহারাদের আইনজীবীরা
রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ অগ্রাহ্য! এই অভিযোগে শিক্ষা দফতর, স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার নোটিশ পাঠালেন বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবীরা। নোটিশে কড়া ভাষায় জানানো হয়েছে, দু’দিনের মধ্যে শীর্ষ আদালতের রায় কার্যকর না-হলে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হবে সংশ্লিষ্ট কর্তাদের বিরুদ্ধে। ববিতা সরকার, নাসরিন খাতুন, লক্ষ্মী টুঙ্গা, সেতাব উদ্দিন-সহ একাধিক বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীর হয়ে এই আইনি চিঠি পাঠিয়েছেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম এবং গোপা বিশ্বাস। নোটিশ পাঠানো হয়েছে রাজ্যের শিক্ষাসচিব, স্কুলশিক্ষা কমিশনার, এসএসসি-র চেয়ারম্যান এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতির উদ্দেশে। তাঁদের স্পষ্ট অভিযোগ— সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেও একটিও চাকরি বাতিল করা হয়নি। বরং যাঁদের চাকরি বাতিল হওয়ার কথা, তাঁরা দিব্যি স্কুলে ক্লাস নিচ্ছেন। এই আচরণ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের সরাসরি অবমাননা বলে দাবি করেছেন আইনজীবীরা। নোটিশে আরও অভিযোগ, যাঁদের ওএমআর শিট প্রকাশ করা হয়নি, তাদের প্রকাশের নির্দেশ ছিল শীর্ষ আদালতের। কিন্তু আজও সেই নির্দেশ মানা হয়নি। এমনকি উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উত্তরপত্রও প্রকাশিত হয়নি। আইনজীবীদের দাবি, সব কিছু জানা সত্ত্বেও পরিকল্পিতভাবে আদালতের আদেশ উপেক্ষা করা হচ্ছে। আরও বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বার রাশিদির ডিভিশন বেঞ্চ এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চের রায় ইচ্ছাকৃতভাবে মানা হচ্ছে না। আদালতের এই নির্দেশ অবহেলা যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে দু’দিনের মাথায় আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করা হবে বলে কড়া হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে আইনজীবীদের পক্ষ থেকে।