
তেলেঙ্গানার ৫টি জেলায় ১০ মহিলাকে ধর্ষণ করে খুন, অবশেষে গ্রেফতার সিরিয়াল কিলার
তেলেঙ্গানার পাঁচটি জেলায় কমপক্ষে ১০ জন মহিলাকে হত্যার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে । কেতাবত গোপাল ওরফে দাপ্পু গোপাল (৫৪) নামে অভিযুক্তকে শুক্রবার নরসাপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, গোপাল একজন দাগী অপরাধী ৷ তার শিকার বেশিরভাগই মহিলা শ্রমিক ৷ জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত তাদের নির্জন এলাকায় নিয়ে যাওয়ার আগে তাদের মদ খাওয়াত ৷ এরপর সেখানে সে তাদের ধর্ষণ করে হত্যা করত বলে অভিযোগ। তারপর অভিযুক্ত নির্যাতিতাদের গয়না এবং নগদ টাকা লুট করত বলে পুলিশ জানিয়েছে। মেডকের এসপি উদয় কুমার রেড্ডি, মামলার বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন। ২৫ মার্চ নরসাপুর মণ্ডলের জয়রাম থান্ডার একজন দিনমজুর শ্রমিক ভুজালি (৫২) নিখোঁজ হওয়ার পর ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, তাকে শেষবার একটি দেশি মদের দোকানের কাছে দেখা গিয়েছে ৷ একজন অজ্ঞাত ব্যক্তির সঙ্গে একটি অটোতে যেতেও দেখা গিয়েছিল। তদন্তের পর, ২৮ মার্চ নরসাপুরের মেডাক রোডের একটি ধাবার কাছে একটি জঙ্গলে ভুজালির পচাগলা দেহ পাওয়া যায়। পুলিশ গোপালকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করার পর ঘটনা জানা যায় ৷ সে খুনের কথা স্বীকার করেছে বলে পুলিশের দাবি। এসপি-র মতে, গোপাল ভুজালিকে নেশাগ্রস্ত করে, শাড়ি দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে ৷ তারপর তার টাকা ছিনতাই করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় ৷ সে কথা স্বীকার করে। তবে, ভয়াবহতা এখানেই শেষ হয়নি। জিজ্ঞাসাবাদের সময় গোপাল ২০০৫ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে মহবুবনগর, সাঙ্গারেড্ডি, ভিকারাবাদ, কামারেড্ডি এবং মেডাক জেলায় সংঘটিত একাধিক হত্যার কথা স্বীকার করে। এর আগে ২০০৮ সালে ভিকারাবাদ জেলার বোম্মারাসপেটে একটি হত্যার জন্য তিনি ১০ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করেছিলেন। তার বিরুদ্ধে নবাবপেট (২০১৮), নরসাপুর মণ্ডল (২০২৩), পাশাপাশি গুম্মাদিদালা, সদাশিবনগর, কামারেড্ডি এবং তাদোয়াইতে আরও মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এসপি রেড্ডি জানান, গোপালের মূল টার্গেট ছিল দুর্বল মহিলারা ৷ বিশেষ করে স্থানীয় শ্রমিক ৷ সে প্রথমে তাদের আস্থা অর্জন করত, তারপর তাদের মদ্যপান করাত এবং তারপর অপরাধ সংঘটনের জন্য নির্জন স্থানে নিয়ে যেত বলে পুলিশের দাবি ৷