
ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদের পরই অবশেষে দক্ষিণ কলকাতা থেকে গ্রেফতার শ্বেতা খান
ছেলের গ্রেফতারের পরেই তাকে জেরা করে তথ্য সংগ্রহের পর অবশেষে গ্রেফতার হল ‘পর্ন সম্রাজ্ঞী’ শ্বেতা খান ওরফে ফুলটুসি । সোদপুরকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত শ্বেতা খান ওরফে ফুলটুসিকে বুধবার দুপুরে কলকাতার আলিপুরে একটি গোপন আস্তানা থেকে গ্রেফতার করে হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ । গ্রেফতারি অভিযানে কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন । যেহেতু মা ও ছেলে দু’জনকেই আজ গ্রেফতার করা হয়েছে, তাই ডোমজুড় থানার পুলিশ তাঁদের মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে । এই বিষয়ে হাওড়া সিটি পুলিশ কমিশনার প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, শ্বেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে এবং বৃহস্পতিবার তাকে হাওড়া আদালতে পেশ করা হবে । শ্বেতার আগের গল্ফগ্রিনের নির্জন ফ্ল্যাটে তখন রাত নেমেছে । বাইরের আলো ঢোকে না, পর্দা টানা, দরজায় ডবল লক । তবু পুলিশের অভিযানে ফেটে পড়ল নিঃশব্দ আস্তানা । মঙ্গলবার রাতে ধরা পড়ল ডোমজুড় পর্ন-কাণ্ডের কেন্দ্রীয় চরিত্র আরিয়ান খান এবং তাঁর সঙ্গী জোয়া । তারা লুকিয়েছিল দক্ষিণ কলকাতার অভিজাত আবাসনে এক বন্ধুর বাড়িতে । কিন্তু গোপন ইনপুট, ফোন ট্র্যাকিং আর টানা রেইকির কাছে শেষরক্ষা হল না । আর মা-ছেলে দুজনেই গ্রেফতার হতে খুলে গেল ‘ফুলটুসি’-র অন্ধকার সাম্রাজ্যের গোপন অধ্যায় । যেখানে জড়িয়ে রয়েছে নিষিদ্ধ ভিডিয়ো, বার-ডান্স প্রশিক্ষণ, যৌন নির্যাতন, সিগারেটের ছ্যাঁকা আর নিগৃহীতার আর্তনাদ । মাস্টারমাইন্ড ফুলটুসির নাবালিকা কন্যা উদ্ধার হয়েছে ইতিমধ্যেই । তবে সেও কম-বেশি অভিযুক্ত । এমনটাই বলছে খড়দা থানায় নিগৃহীতার অভিযোগপত্র । শ্বেতা খান ওরফে ফুলটুসি এই কাহিনির সবচেয়ে ভয়ঙ্কর নাম । বছর দশেক আগেই পুলিশি খাতায় উঠে আসে তার নাম । তদন্তে উঠে এসেছে, ফুলটুসির নাবালিকা কন্যাও এই চক্রে যুক্ত । নিগৃহীতা নয় সে, বরং তার বিরুদ্ধেই রয়েছে তদন্তাধীন অপরাধের অভিযোগ । তাকে কলকাতার এক আত্মীয়ের বাড়িতে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল । সেখান থেকেই আরিয়ানকে উদ্ধার করে জেরা শুরু করেছে পুলিশ ।