
তেলেঙ্গানা টানেলে আটকে পড়া কর্মীদের খোঁজে জিপিআর ব্যবহার
শ্রীশৈলম লেফট ব্যাঙ্ক ক্যানেলে (SLBC) আটকে থাকা শ্রমিকদের খুঁজে বের করতে জিপিআর-এর সাহায্যে সংকেত পাঠানো হয়েছিল ৷ সেই সময় আটটি জায়গা থেকে শক্তিশালী সংকেত প্রতিফলিত হয়েছে বলে খবর। এই তথ্য়কে সামনে রেখেই উদ্ধার কাজে গতি আনতে চাইছেন উদ্ধারকারীরা। ন্যাশনাল জিওফিজিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রধান বিজ্ঞানী এম সত্যনারায়ণ জানান, স্থান চিহ্নিত করে দুই স্থানে খনন করে যন্ত্রপাতি পাওয়া গিয়েছে। তাঁর কথায়, “আমরা পরামর্শ দিয়েছি, বাকি ছ’টি জায়গাতেও খনন করা হোক। আমরা আশাবাদী যে শীঘ্রই ইতিবাচক ফল আসবে।” তিনি তাঁর দলের সঙ্গে এক সপ্তাহ উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছিলেন ৷ সত্যনারায়ণ ব্যাখ্যা করে বলেন, “আমরা গ্রাউন্ড পেনিট্রেটিং রাডারের (জিপিআর) মাধ্যমে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রশ্মি পাঠিয়ে বস্তুকে শনাক্ত করি। মহাকাশে, এই রাডার শত্রু বিমান সনাক্ত করতে ব্যবহার করা হয়। বলে দেয় যে আকাশে উড়োজাহাজের মতো একটাই বস্তু আছে। যে সংকেতগুলি ধাক্কা লেগে ফিরে আসে তার ভিত্তিতে বস্তুটিকে সঠিকভাবে সনাক্ত করা সম্ভব। আমরা এই সংকেতগুলি পাঠিয়ে সেখানে স্তরগুলিতে কী রয়েছে তা সনাক্ত করার চেষ্টা করেছি। টানেলে শ্রমিকদের চিহ্ন সনাক্ত করতে আমরা 200 MHz সংকেত পাঠিয়েছিলাম।” সেখানেই দু’জায়গা থেকে সংকেত ফিরে আসে। তিনি আরও বলেন, “আমরা আগত রশ্মির সংঘর্ষের উপর ভিত্তি করে লক্ষ্যবস্তু কোথায় অবস্থিত তা ম্যাপ করি। টানেলের ধ্বংসাবশেষে ড্রিলিং মেশিনের যন্ত্রাংশ রয়েছে। প্রত্যাবর্তিত সংকেত থেকে বোঝা যায় সেগুলি কোথায় আঘাত করেছে ৷ আমরা 200 মিটার গভীরতা পর্যন্ত দেখতে সক্ষম হয়েছি। সরকার যদি আরও অধ্যয়নের জন্য বলে, আমরা তা করতে প্রস্তুত ৷”