
৩ ঘণ্টার মধ্যেই চিন্ময় প্রভুর জামিন স্থগিত, সুপ্রিম কোর্টের পথে আইনজীবীরা
আশঙ্কাই সত্যি হল। জামিন পেলেও বাংলাদেশের সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভুর জেলমুক্তি নিয়ে জটিলতা দেখা গিয়েছিল আগেই। কিন্তু তিনঘণ্টার মধ্যে সেই জামিনেই স্থগিতাদেশ দেওয়া হল। ফলে আপাতত বন্দিদশা কাটছে না হিন্দু সনাতন সম্মিলিত জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর। দীর্ঘ ৫ মাস পর বুধবার দুপুরে ঢাকা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জামিন মঞ্জুর করার পরপরই সরকার পক্ষের তরফে তাতে স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করা হয় অন্য বেঞ্চে। তাতেই স্থগিত হয়ে যায় জামিন। রবিবার ফের মামলার শুনানি। তবে চিন্ময় প্রভুর আইনজীবীরা জানান, এবার তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে এই লড়াই লড়বেন। বুধবার দুপুরে চিন্ময় প্রভুর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় বিচারপতি মহম্মদ আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মহম্মদ আলি রেজার হাই কোর্ট বেঞ্চ তাঁর জামিন মঞ্জুর করে। তাঁর জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল যথাযথ বলে ঘোষণা করে হাই কোর্ট। আদালতের আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মহম্মদ রেজাউল হককে এই আদেশ দেন। পরে বিকেলে সরকারপক্ষের তরফে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড হেলাল আমিন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে জামিন স্থগিতের আবেদন করেন। আদালতে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও আবদুল জব্বার ভুঁইঞা। চিন্ময় প্রভুর আইনজীবী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ‘সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল’কে জানিয়েছেন, ”যে অর্ডার দিয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চ, সরকারপক্ষ তাতে স্থগিতাদেশ চেয়েছে। সরকারি আইনজীবী আবেদন জানিয়েছিলেন। তাই স্থগিতাদেশ হয়েছে। রবিবার পরবর্তী শুনানি। এই আশঙ্কা ছিল আমাদের। সরকারপক্ষ তাঁকে জেল থেকে বেরতে দিতে চায় না। তবে আমরা এরপর সুপ্রিম কোর্টে যাব। তার আগে পর্যন্ত চিন্ময় প্রভুকে জেলেই থাকতে হবে।” ২০২৪ সালের নভেম্বরে পতাকা অবমাননার অভিযোগে দেশদ্রোহিতার মামলা দায়ের হয় চিন্ময় প্রভুর বিরুদ্ধে। তাঁকে চট্টগ্রামের কারাগারে বন্দি করা হয়। একাধিকবার চট্টগ্রামের নিম্ন আদালতে জামিনের আবেদন খারিজ হয়। এমনকী শুনানির আগে তাঁর আইনজীবীদের উপর হামলাও হয়। পরে ঢাকা হাই কোর্টেও জামিন খারিজ করে দেয়। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুরা অভিযোগ তোলেন, হিন্দু সন্ন্যাসী বলেই ইউনুস সরকারের কোপে পড়েছেন চিন্ময় প্রভু। সেই কারণেই জামিন নিয়ে অযথা এত জটিলতা।