সর্বোচ্চ শৃঙ্গ জয়ের পরে ফেরা হল না ঘরে, এভারেস্টেই মৃত্যু হল রানাঘাটের সুব্রতর 

মাউন্ট এভারেস্ট আরোহণকারীদের আরেকটি বড় বিষয় যা মাথায় রাখতে হয় তা হল উচ্চতাজনিত ক্লান্তি ৷ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করলেও সেই ক্লান্তিকে সম্ভবত জয় করতে পারলেন না রানাঘাটের স্কুলশিক্ষক সুব্রত ঘোষ ৷ বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ জয় করে ঘরে ফেরা হল না বাগদা ব্লকের কাপাসটি মিলনবীথি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকের ৷ সঙ্গী রুম্পা দাস ফিরতে সক্ষম হলেও ঝক্কি সামলে নীচে নামতে পারলেন না সুব্রত ঘোষ ৷ বৃহস্পতিবারই মাউন্ট এভারেস্ট জয়ীদের তালিকায় নাম তুলেছিলেন সুব্রত ঘোষ এবং রুম্পা দাস। নজির গড়ার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই বয়ে এল দুঃসংবাদ ৷ সুব্রত এবং রুম্পা দু’জনেই রানাঘাট কুপার্স ক্যাম্পের বাসিন্দা। রানাঘাট তিন নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা 45 বছরের সুব্রত ঘোষ বাগদা ব্লকের কাপাসটি মিলনবীথি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ৷ অন্য়দিকে ৪৪ বছরের রুম্পা দাস কুপার্স ক্যাম্পেরই একটি স্কুলের ইংরেজি শিক্ষিকা ৷ বাঙালি অভিযাত্রী হিসেবে দু’জনেই নজির গড়লেন বটে, কিন্তু শেষটা সুখের হল না ৷

ছোটবেলা থেকেই পাহাড়ের প্রতি সুব্রতর ভীষণ নেশা। করোনা অতিমারীর সময়েও রওনা দিয়েছিলেন পাহাড়ের দিকে। এবার রওনা দিয়ে ছুঁয়ে ফেলেছিলেন এভারেস্ট। কিন্তু উচ্ছ্বাস নিয়ে ফেরা হল না ঘরে। এভারেস্ট জয় করে নিচে নামার সময় মৃত্যু হল নদিয়ার রানাঘাটের স্কুল শিক্ষকের। সুব্রত যে সংস্থার সঙ্গে পাড়ি দিয়েছিলেন এভারেস্টের উদ্দেশে, তাদের পক্ষ থেকেই সুব্রতর মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।  গত ৩১মার্চ রানাঘাট থেকে এভারেস্টের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিলেন সুব্রত। গত পরশুদিন রাত সাড়ে দশটা নাগাদ ক্যাম্প ফোর থেকে রওনা দিয়ে হিমালয়ের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এভারেস্ট পৌঁছন।  সহযোগী ছিলেন নদীয়ার আরও এক স্কুল শিক্ষিকা রুম্পা দাস। তিনিও অসুস্থ, রয়েছেন অক্সিজেন সাপোর্টে।  আচমকা খারাপ আবহাওয়ার কারণে শারীরিক অসুস্থতা বোধ করায় নিচে নামার পথে সুব্রতর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে প্রাথমিকভাবে। জানা গিয়েছে, চার নম্বর বেস পৌঁছনোর সময় শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় তাঁর। যে শেরপা তাঁকে নিয়ে রওনা দিয়েছিলেন তিনি ফিরে এসে জানিয়েছেন সুব্রত ঘোষ মৃত, যদিও এখনও পর্যন্ত অফিসিয়ালি জানানো হয়নি বলেই জানা গিয়েছে।

error: Content is protected !!