
মুখ্যমন্ত্রীর ফুরফুরা শরিফে যাওয়া নিয়ে ফের তাঁর দলের বিরুদ্ধে তোষণের রাজনীতির অভিযোগ করলেন শুভেন্দু
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফুরফুরা শরিফে যাওয়া নিয়ে ফের তাঁর দলের বিরুদ্ধে তোষণের রাজনীতির অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ তাঁর কটাক্ষ, ভোটব্যাংক একত্রিত করতে প্রতি বিধানসভা নির্বাচনের আগেই ফুরফুরা শরিফে যান মমতা ৷ তবে তার পরের পাঁচ বছর আর তাদের কথা মনে থাকে না মুখ্যমন্ত্রীর ৷ ছাব্বিশের নির্বাচনের রণনীতি ঠিক করা নিয়ে সন্ধেয় সুকান্ত মজুমদারের বাসভবনে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে যোগ দিতে আজ দিল্লি যাওয়ার আগেই মমতাকে একহাত নেন শুভেন্দু ৷ সোমবার দমদম বিমানবন্দরে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “প্রতিবার বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভোটব্যাংক একত্রিত করতে ফুরফুরা শরিফে যান মুখ্যমন্ত্রী । ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগেও গিয়েছিলেন । মাঝে পাঁচ বছর ফুরফুরা শরিফের কথা ভুলে গিয়েছিলেন । ওখানকার সংখ্যালঘু মানুষদের কথা ভুলে গিয়েছিলেন । এখন আবার ভোট আসছে, তাই ফুরফুরায় যেতে হবে ।” শাসকদলের বিরুদ্ধে তোষণের রাজনীতির অভিযোগ করে বিরোধী দলনেতা বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু ভোটার, যাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দেন, আজ তাঁরা টিভির দিকে নজর রাখবেন । দেখবেন, আমি যে বলি তোষণের রাজনীতি, সেটা প্রমাণ হয়ে যাবে ।” সংখ্যালঘু ভোটের স্বার্থে নির্বাচনের আগে ফুরফুরায় গেলেও মুখ্যমন্ত্রী ফুরফুরা শরিফের মানুষদের সঙ্গে উন্নয়নের নামে প্রতারণা করেছেন বলে অভিযোগ করেন শুভেন্দু । তিনি বলেন, “ফুরফুরা শরিফে গিয়ে দেখলেই বোঝা যাবে, সেখানে কতটা উন্নয়ন হয়েছে ! আদতে কিছুই হয়নি । মুসলিম সমাজও এখন তৃণমূল কংগ্রেসের উপর ক্ষুব্ধ ।” মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দেগে বিরোধী দলনেতা বলেন, “২০২৬ সালের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস হিন্দু ভোট পাবে না । সেই ভোট ইতিমধ্যেই সরে গিয়েছে । তাই মুখ্যমন্ত্রী দিশেহারা হয়ে পড়েছেন এবং ভোটব্যাংক ধরে রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন ।” উল্লেখ্য, সোমবার ফুরফুরা শরিফ সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । ফুরফুরার পীরজাদাদের সঙ্গে একান্ত বৈঠক করা ছাড়াও সরকারি উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার পার্টিতেও অংশ নেবেন তিনি । এই সফরে ফুরফুরা শরিফের উন্নয়ন ও সরকারি তহবিলের যথাযথ ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।