
ওড়িশায় ফের গণধর্ষণের পর কিশোরীকে খুন, গাছে মিলল ঝুলন্ত দেহ
গোপালপুরে সমুদ্র সৈকতে কলেজছাত্রীকে গণধর্ষণ নিয়ে এখনও উত্তাল ওড়িশা। এরমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝির জেলা কেওনঝড় থেকে আরও একটি গণধর্ষণ করে খুনের ঘটনা সামনে এল। মঙ্গলবার সকালে ধান জমির মধ্যে একটি গাছ থেকে ১৭ বছরের কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। গণধর্ষণের পর তাকে খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে পরিবারের অভিযোগ। ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে মূল অভিযুক্ত সাগু নায়েক সহ দু’জনকে আটক করেছে পুলিস। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্তদের মোবাইল ফোন এবং পোশাক উদ্ধার করা হয়েছে।
কেওনঝড়ের তেন্তলাপাশি গ্রামে বাড়ি কিশোরীদের। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার বিকেল থেকে কিশোরী নিখোঁজ ছিল। অনেক খোঁজাখুঁজির পর মেয়েকে না পেয়ে পান্ডাপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। এরপর বুধবার সকালে বাড়ির কাছেই ধানের জমিতে একটি গাছ থেকে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পুলিস জানিয়েছে, পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পকসো আইনে মামলা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিস মনে করছে, আগে থেকেই অভিযুক্তদের চিনত কিশোরী। এদিন ঘটনা ঘিরে তীব্র উত্তেজনা দেখা দেয় কেওনঝড়ের তেন্তলাপাশি গ্রামে। পরিবারের পক্ষ থেকে দেহ নিতে অস্বীকার করা হয়। দোষীদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত দেহ সরানো যাবে না বলে তাঁরা জানান। তেন্তলাপাশি ক্রসিংয়ের কাছে নুদুরপাড়া-কালিয়াহাটা সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় বিধায়ক ফকির চরণ নায়েক, কেওনঝড়ের সহকারি জেলাশাস এবং হরিচন্দ্রপুরের তহশিলদার ঘটনাস্থলে গিয়ে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির আশ্বাস দিলে অবরোধ উঠে যায়। ময়নাতদন্ত এবং ফরেন্সিক তদন্তের জন্য দেহ পাঠানো হয়েছে বলে পুলিস জানিয়েছে। রিপোর্ট হাতে এলেই কিশোরীর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।