ভর দুপুরে বহরমপুরে বাড়ির সামনে তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুন
বহরমপুরে প্রকাশ্যে গুলি করে খুন তৃণমূল নেতাকে ৷ পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করা হয় তৃণমূল নেতা সত্যেন চৌধুরী (৬৫)-কে। ঘটনার পর ওই তৃণমূল নেতাকে উদ্ধার করে স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানেই দুপুর আড়াইটে নাগাদ মৃত্যু হয় সত্যেন চৌধুরীর। ঘটনাটি ঘটে বহরমপুর থানার চালতিয়া এলাকায়। বহরমপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। একসময় অধীর চৌধুরীর ছায়াসঙ্গী ছিলেন সত্যেন চৌধুরী। তৃণমূল ক্ষমতার আসার পর তৃণমূলে যোগ দেন মুকুল রায়ের হাত ধরে। এলাকার দাপুটে নেতা হিসাবেও পরিচিত ছিলেন। সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেস থেকে কিছুটা দূরত্ব রেখে চলছিলেন। রাজনীতির পাশাপাশি প্রোমোটারি ব্যবসা করতেন নিজের এলাকায়। একমাত্র মেয়ে লন্ডনে পড়াশোনা করে।ডিসেম্বরে পরিবার নিয়ে উত্তর ভারত বেড়াতেও গিয়েছিলেন। ৪ জানুয়ারি সেখান থেকে ফিরে আসেন। এদিন সংগঠনের একটি বনভোজনে যাওয়ার কথা ছিল। তার আগেই প্রতিদিনের মতো নির্মীয়মাণ ফ্ল্য়াটের নিচের তলায় চালতিয়া বিলের দিকে মুখ করে চেয়ারে বসেছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, দুষ্কৃতীরা মোটরবাইকে আসে এবং তিনজন ফ্ল্য়াটে ঢোকে। এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, তিনজনের হাতেই পিস্তল ছিল। চেয়ারে বসে থাকা অবস্থায় তিনটি গুলি চালায়। গলা ও মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে। আমি ভয়ে পাঁচিল টপকে পালায়। সত্যেন চৌধুরীর ছায়াসঙ্গী শম্ভুরঞ্জন বসু বলেন, আমি ওর সমস্ত কাজকর্ম দেখাশোনা করি। আজ আমাদের পিকনিকে যাওয়ার কথা ছিল। একাদশী তাই সত্যেন সেখানে খেত না। কিন্তু যাবে বলে জানিয়েছিলেন ৷ মার্বেল মিস্ত্রি রাববুল শেখ বলেন, আমাকে ফোন করে আসতে বলেছিলেন। তার পরেপরেই ঘটনা ঘটে। নির্মীয়মান ফ্ল্যাট থেকে ৫০ মিটার দূরেই সত্যেন চৌধুরীর বাড়ি। ঘটনার খবর পরিবারের লোক বেরিয়ে আসেন। গুলির শব্দ শুনে বেরিয়ে আসেন স্থানীয় মানুষ। পরিবারের দাবি, রাজনীতি ও ব্যবসা সংক্রান্ত শত্রুর সংখ্যা বেড়েছিল। ঘটনায় রাজনীতি যোগ থাকতে পারে বলেও অনেকের অনুমান। পাশাপাশি ব্যবসা সংক্রান্ত কারণে খুন বলেও উঠে আসছে।