বিজেপির কর্মিসভা ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে উত্তাপ ছড়াল ৷ রবিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্য প্রশাসন ও শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ তোলেন ৷ পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলা নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল ৷ বিজেপির এই সভার জন্য রাজ্য সরকারের তরফে অনুমতি দেওয়া প্রসঙ্গে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন বলেই এই কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া হয়েছে ৷ বিজেপি যদি সত্যিই গণতন্ত্র মানত, তবে অন্য রাজ্যে তৃণমূলকে এই সুযোগ দিত ?” একইসঙ্গে তাঁর কটাক্ষ, “অমিত শাহ বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে হিংসা ও সন্ত্রাসের কথা বলছেন ৷ অথচ হিংসা-সন্ত্রাস রুখতে ব্যর্থ তিনি নিজেই ৷ জম্মু-কাশ্মীরে পুলিশ কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে ৷ আর তাই পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলার ঘটনার দায় তিনি এড়াতে পারেন না ৷” অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, “তিনি ( অমিত শাহ) বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে নারী সুরক্ষার কথা বলছেন, অথচ হাথরাস, মণিপুর, গুজরাতে নারীদের উপর অত্যাচারের ঘটনায় তাঁরা নীরব দর্শক !” নারীদের জন্য কেন্দ্রীয় প্রকল্পে রাজ্যের ‘বঞ্চনার’ প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “একশো দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ বাংলার বকেয়া 1.75 লাখ কোটি টাকা ৷ তারপরও অমিত শাহ নারীর উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেন !” অপারেশন সিঁদুর নিয়ে রাজনীতি করার প্রসঙ্গ তুলে চন্দ্রিমা বলেন, “অপারেশন সিঁদুর নামে বিজেপি যে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে, তা বাংলার মেয়েদের অপমান করার সামিল ৷ এটা সরাসরি বাংলার সংস্কৃতি ও নারীত্বের উপর আঘাত ৷” চন্দ্রিমা রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকেও নিশানা করে বলেন, “তিনি কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ৷ কিন্তু তাঁর মুখে বাংলার মেয়েদের সম্পর্কে অসম্মানজনক মন্তব্য শোনা গিয়েছে ৷ আমরা তাঁর পদত্যাগ দাবি করছি ৷” তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বিজেপিকে আক্রমণ করে বলেন, “সভার সদ্ব্যবহার করতে পারলেন না অমিত শাহ ৷ উল্টে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুৎসা করলেন ৷ কন্যাশ্রী ও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো প্রকল্পের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী নারীদের জন্য যে কাজ করছেন, তাকে আক্রমণ করা মানে গোটা বাংলার মহিলাদের অপমান করা ৷” কাকলি আরও বলেন, “বিএসএফের অধীনে সীমান্ত, সেখানে অনুপ্রবেশ হলে সেটা কেন্দ্রের ব্যর্থতা ৷ তাই অমিত শাহের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদে থাকার অধিকার নেই ৷”