অনুব্রতর পাশে দাঁড়িয়ে মন্তব্যের জের, সাসপেন্ড বীরভূমের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা

বোলপুর থানার আইসিকে কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণ করায় ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। অনুব্রতর পাশে দাঁড়িয়ে বীরভূম জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি বিক্রমজিৎ সাউকে বলতে শোনা যায়, ‘লিটন হালদারের দম থাকলে, বুকের পাটা থাকলে সত্যি কথাটা জানাও।’ রবিবারই ছাত্র পরিষদের সেই সভাপতিকে পদ থেকে সরানোর হলো। শুধু তাই নয়, দল থেকেও ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড করে দেওয়া হলো। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য রবিবার একটি চিঠি লিখে তাঁকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের বীরভূম জেলা কোর কমিটির সদস্য বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, ‘ছাত্র সংগঠনের ব্যাপার। আমি সবটা জানি না।’ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমরা বিষয়টাকে খতিয়ে দেখেছি এবং সত্যতা যাচাই করতে যে টুকু সময় লেগেছে। এর পরেই আমাদের দলে যে শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি রয়েছে, সেখানেই এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাঁর এই মন্তব্যে দল অনুমোদন করে না। ফলে তাঁকে ছয় বছরের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হলো।’ সম্প্রতি বোলপুর থানার আইসি লিটন দাসের সঙ্গে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের একটি ফোনের কথোপকথন ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ আধিকারিককে কুকথা বলার জন্য অনুব্রতকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বলে দল। সেই বিতর্কের মাঝেই দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে বেশ কিছু মন্তব্য করেন বিক্রমজিৎ। তাঁর একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে যেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘বোলপুর থানার আইসি প্রত্যেক বালি ও পাথর মাফিয়ার সঙ্গে যোগসূত্র বজায় রেখে কাজ করে। এই লিটন হালদার অনুব্রত মণ্ডল নামক ব্র্যান্ডকে দমানোর চেষ্টা করছে। লিটন হালদারের দম থাকলে, বুকের পাটা থাকলে সত্যি কথাটা জানাও। বালিঘাট থেকে বোলপুরের সাধারণ মানুষকে নিয়ে যে ছিনিমিনি খেলেছ, তুমি অনুব্রত নামক শক্তিকে নিজের অপকর্মের মাধ্যমে দমানোর চেষ্টা করেছ। তোমার অপকর্মে অনুব্রতর শক্তি দমে না।’ বিক্রমজিতের এই বক্তব্য নিয়েও শুরু হয় বিতর্ক। অবশেষে রবিবার তাঁকে সাসপেন্ড করল তৃণমূল। চিঠিতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ উল্লেখ করেছে, ‘সমাজমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিয়োয় যে কথা বলা হয়েছে, তা সংগঠনের মতাদর্শের পরিপন্থী, সংগঠন বিরোধীও বটে।’ সেই কারণেই তাঁকে সাসপেন্ড করার সিধান্ত নিল দলের ছাত্র সংগঠন।

error: Content is protected !!