
‘তেজস্ক্রিয় বিকিরণ হচ্ছে না, ক্ষতির আশঙ্কা নেই’, পারমাণবিক কেন্দ্রে মার্কিন হামলার পর জানাল ইরান
ভারতীয় সময় রবিবার ভোরে ইরানের ফোরদো, নাতান্জ ও ইসফাহানের পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে মার্কিন সেনা। তবে ইরানের সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, পরমাণুকেন্দ্রগুলি থেকে কোনও তেজস্ক্রিয় বিকিরণের খবর পাওয়া যায়নি। ওই তিন এলাকার সাধারণ মানুষ সুরক্ষিত রয়েছেন। চিন্তার কোনও কারণ নেই। ন্যাশনাল নিউক্লিয়ার সেফ্টি সিস্টেম সেন্টারকে উদ্ধৃত করে ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দেশের পরমাণুকেন্দ্রগুলি থেকে কোনও তেজস্ক্রিয় বিকিরণের খবর পাওয়া যায়নি। তেহরানের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ফোরদো, ইসফাহান এবং নাতান্জের আশপাশে যাঁরা থাকেন, তাঁদের ক্ষতির আশঙ্কা নেই।’ সেই সঙ্গে সৌদি আরবের পরমাণু পর্যবেক্ষক সংস্থা সমাজমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, বলা হয়েছে, ‘ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্র লক্ষ্য করে মার্কিন সামরিক হামলার জেরে সৌদি আরব এবং আরব উপসাগরীয় দেশগুলির পরিবেশের উপর তেজস্ক্রিয় কোনও প্রভাব লক্ষ্য করা যায়নি।’ এদিকে, হোয়াইট হাউস থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণে ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইরানের যে তিনটি পরমাণুকেন্দ্রে হামলা চালানো হয়েছে, সেগুলি সবচেয়ে কঠিন কাজ ছিল। তবে ইরানের আরও অনেক জায়গা আছে, যা আমেরিকার লক্ষ্যবস্তু হতে পারে। আয়াতুল্লা খামেনেইয়ের দেশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, ‘ইরানকে শান্তিস্থাপন করতেই হবে, না হলে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটবে।’ ইরানে কেন হামলা চালানো হল? তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ট্রাম্প জানিয়েছেন, তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল ইরানের পরমাণু শক্তিধর হয়ে ওঠার চেষ্টা ও তাদের পরীক্ষাগারকে একেবারে ধ্বংস করে দেওয়া। ইরানের কারণে বিশ্বে যে আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে, তা বন্ধ করতে এই হামলা। অন্যদিকে, ইরানে আমেরিকার হামলায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসংঘ।