
ইরানে সেনা পাঠাবে না আমেরিকা, জানালেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স
৩টে মাত্র পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালালেই যে একটা বড়সড় যুদ্ধ বাধবে, এমনটা মনে করছেন না আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স ৷ এছাড়া ইরানে মার্কিন সেনা পাঠানোর কোনও আগ্রহ নেই ট্রাম্প প্রশাসনের ৷ রবিবার একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনই মন্তব্য করেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই ডেপুটি ৷ এদিকে ইরানে হামলা চালানোর নেপথ্যে শাসক পরিবর্তনের কোনও সদিচ্ছা নেই বলে জানিয়েছে পেন্টাগন ৷ ভান্সের বক্তব্য়, “ইরানে সেনা পাঠানোর কোনও ইচ্ছা আমাদের নেই ৷ এটা কোনও বড় যুদ্ধের আকার নেবে, এমনটাও আশঙ্কা করি না ৷” এরই সঙ্গে তিনি আবারও জানান ইরানের উচিত আলোচনায় বসা ৷ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আগামিদিনে ইরান চাইলে আমেরিকার সঙ্গে আলোচনায় বসতেই পারে ৷ ভাইস প্রেসিডেন্টের কথায়, “আমরা ওদের পরমাণু প্রকল্পগুলি শেষ করতে চাই ৷ তারপর আমরা ইরানের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি সমঝোতা করতে চাই ৷ ইরানের মানুষের কাছে স্মার্ট পথ বেছে নেওয়ার এটাই একটা সুযোগ ৷ আমরা নিশ্চিত, তাঁরা সেটাই করবেন ৷” আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে তিনি আরও বলেন, “শান্তির রাস্তায় হাঁটতে পারে ইরান ৷ অথবা তারা পরমাণু অস্ত্র তৈরি করে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার মতো বিপজ্জনক রাস্তা বেছে নিতে পারে ৷ কিন্তু সেটা আমেরিকা সহ্য করতে পারবে না ৷” এদিন সন্ধ্যায় তিনি সোশাল মিডিয়ায় লেখেন, “গতরাতের অভিযানে আমেরিকার সামরিক বাহিনীর পাইলট এবং অন্য সদস্যরা অবিশ্বাস্য সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন ৷ জেনারেল কেইন এবং জেনারেল কুরিল্লাকে কুর্নিশ ৷” চলতি সপ্তাহেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন, আমেরিকা ইরানে কোনও রকম সামরিক হামলা চালাবে কি না, তা ঠিক করতে দু’সপ্তাহ সময় লাগবে ৷ কিন্তু তাঁর এহেন মন্তব্যের 72 ঘণ্টার মধ্যেই আমেরিকা ইরানের তিনটি পরমাণু কেন্দ্র- ফোরদো, ইশফাহান, নাতানজ-এ হামলা চালায় ৷ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই পদক্ষেপের কথা নিজেই সোশাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন ৷ ইরানও এর জবাবে আমেরিকাকে ভয়ঙ্কর পরিণতির হুঁশিয়ারি দিয়েছে ৷ এদিকে পরমাণু কেন্দ্রগুলিতে সামরিক অভিযানের ফলে আন্তর্জাতিক মঞ্চের কূটনীতিকরা ওই এলাকায় তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ৷ রাশিয়াও এর আগে বিধ্বংসী চেরনোবিলের কথা মনে করিয়ে দিয়েছিল ৷ বিশ্বের পরমাণু কার্যকলাপের নজরদারি সংস্থা ‘আন্তর্জাতিক অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি’ (আইএইএ) জানিয়েছে, আমেরিকার হামলার পরও পরমাণু কেন্দ্রগুলি থেকে তেজস্ক্রিয় বিকিরণের মাত্রা বৃদ্ধি পায়নি ৷ গত 13 জুন ভোরে ইরানের পরমাণু কেন্দ্র এবং সেনাঘাঁটিগুলিকে নিশানা করে হামলা চালায় ইজরায়েল ৷ সেই থেকে এই সংঘাতের শুরু ৷