শান্তিনিকেতনে বসল রবীন্দ্রনাথের নাম যুক্ত নয়া ফলক

অবশেষে বিতর্কিত ফলক ভেঙে ফেলল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বুধবার সন্ধ্যায় চাপের মুখেই ভেঙে গুঁড়িয়ে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হল রবীন্দ্রনাথকে অবমাননা করার ফলকগুলি। পরিবর্তে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের নির্দেশমতোই প্রতিস্থাপন করা হল নতুন ফলক। গত ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য স্বীকৃতি পাওয়ার পরই শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী উপাসনাগৃহ, রবীন্দ্রভবন ও গৌরপ্রাঙ্গণে তিনটি শ্বেতপাথরের ফলক বসায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তাতে আচার্য হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তৎকালীন উপাচার্য হিসেবে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নাম ছিল। তবে ব্রাত্য স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ। যা নিয়ে নিন্দা ঝড় ওঠে সর্বত্র। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ১৪ দিন ধরে টানা আন্দোলন করে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী-বিধায়ক-সাংসদেরাও। প্রতিবাদ জানায় শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট, প্রাক্তনী ও প্রবীণ আশ্রমিকেরা। গত ৮ নভেম্বর, বিদ্যুৎমুক্ত হতেই চাপে পড়ে অনেক টালবাহানার পর বিতর্কিত ফলক সরানোর নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক। অবশেষে বুধবার সন্ধ্যায় বিশ্বভারতীর তরফ থেকে বিতর্ক তুঙ্গে তোলা ফলকগুলি উপড়ে ফেলা হয়। আচমকা অভিযানে নেমে শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী স্থানে বসানো তিনটি ফলকই ভেঙে দেওয়া হয়েছে। পরিবর্তে নতুন ফলক প্রতিস্থাপন করা হয়। স্বাভাবিকভাবে এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন বিশ্বভারতীর পড়ুয়া অধ্যাপক থেকে শুরু করে প্রাক্তনী ও প্রবীণ আশ্রমিকেরা। নতুন ফলকে আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী বা উপাচার্যের নাম নেই। ফলকের মাঝখানে অশোক স্তম্ভ। দুপাশে ইউনেস্কো ও বিশ্বভারতীর লোগো। রবীন্দ্রপ্রেমীদের বড় অংশই মুখর হয়েছিলেন এই ফলকের বিরুদ্ধেই। আর প্রতিবাদের সেই আঁচ উপলব্ধি করেই ফলক সারানো নির্দেশ পাঠাতে বাধ্য হয় কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক।

error: Content is protected !!