
রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পেল ওয়াকফ বিল, সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ বিরোধীরা
ওয়াকফ বিলে সম্মতি দিলেন রাষ্ট্রপতি দৌপদী মূর্মূ। এই বিল পেশ করার পরে লোকসভা এবং রাজ্যসভায় তীব্র বাদানুবাদ এবং হয়। সংসদের দুই কক্ষেই দীর্ঘ আলোচনার পরে পাস হয় ওই বিল। এ বার রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পেল ওয়াকফ বিল। জানা গিয়েছে, ওয়াকফ বিলে সই করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দৌপদী মূর্মূ । এর ফলে ওই বিল আইনে পরিণত হবে। সেই সঙ্গে বদলে যাবে আগের ওয়াকফ বিল। বুধবার এবং বৃহস্পতিবার ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে আলোচনা হয় সংসদের দুই কক্ষে। লোকসভার পরে ধ্বনি ভোটে এই বিল পাস হয় রাজ্যসভাতেও। রাজ্যসভায় এই বিলের পক্ষে ১২৮ জন এবং বিপক্ষে ৯৫ জন ভোট দিয়েছিলেন। এর আগে, লোকসভায় ওই বিলের পক্ষে ২৮৮ জন এবং বিরুদ্ধে ২৩২ জন ভোট দিয়েছিলেন। যদিও সংসদের দুই কক্ষেই বিল নিয়ে তীব্র আপত্তি জানান কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস-সহ বিভিন্ন দলের সাংসদরা। তাঁদের অভিযোগ, এই বিল ভারতে সংখ্যালঘু অধিকার কেড়ে নেবে। তাদের উপর ধর্মীয় আঘাত করার জন্যই এই আইন এনেছে বিজেপি। ওই বিলকে অসাংবিধানিক বলেও মন্তব্য করেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সংসদের দুই কক্ষেই এই বিল পাস হলেও প্রস্তাবিত এই আইন ঠেকাতে মরীয়া হয়েছেন বিরোধীরা। এই বিলের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন দুই জন সাংসদ। এদের মধ্য একজন এআইএমআইএম সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়াইসি । ওয়াকফ (সংশোধনী) বিলকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার বার্তা দিয়েছে কংগ্রেসও। এই বিলের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন করা হয়েছে আম আদমি দলের তরফেও। নতুন বিলে ওয়াকফ কাউন্সিলে এই প্রথম দু’জন অমুসলিমকে স্থান দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এই প্রস্তাব নিয়েও আপত্তি এবং প্রতিবাদ জানিয়েছে কংগ্রেস। যদিও বিরোধীদের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রীর কিরেন রিজিজুর দাবি, এই আইন মুসলিম বিরোধী নয়। এই সবের মধ্যেই শনিবার এই বিলে অনুমোদন দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই।